1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলন

৯ সেপ্টেম্বর ২০১২

বিশ্বের চালক হলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ‘অ্যাপেক’৷ কেননা বিশ্ব অর্থনীতির ৪৪ ভাগেরই মালিক এই সংস্থার ২১ সদস্য রাষ্ট্র৷

https://p.dw.com/p/165hF
Leaders from Pacific-rim nations pose for a group photo on the final day of the APEC summit in Vladivostok, Russia, Sunday, Sept. 9, 2012. From left to right are South Korean President Lee Myung-bak, Vietnamese President Truong Tan Sang, Indonesian President Susilo Bambang Yudhoyono, Thailand's Prime Minister Yingluck Shinawatra, Chinese President Hu Jintao, Singapore Prime Minister Lee Hsien Loong, Canadian Prime Minister Stephen Harper, Peruvian President Ollanta Humala, Australian Trade Minister Craig Emerson , New Zealand Prime Minister John Key, Russian President Vladimir Putin, Mexico President Felipe Calderon, Sultan of Brunei Hassanal Bolkiah, Papua New Guinea Prime Minister Peter O'Neill, Chilean President Sebastian Pinera, Philippines President Benigno Aquino III, Japanese Prime Minister Yoshihiko Noda, U.S. Secretary of State Hillary Rodham Clinton, Malaysian Prime Minister Najib Razak, Taiwanese Special Envoy Lien Chan and Hong Kong Financial Secretary John Tsang. (AP Photo/Vincent Yu)
ছবি: dapd

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপান হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় তিন অর্থনীতির দেশ৷

রাশিয়ার বন্দর নগরী ভ্লাদিভোস্টোকে এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার দুইদিনের শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে৷ তবে এবারের সম্মেলনের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক ছিলো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজেদের মধ্যে শীতল সম্পর্ক৷

এর কারণ দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগর৷ দক্ষিণ চীন সাগর পুরোটাই নিজেদের বলে চীন৷ এ নিয়ে ফিলিপাইনের সঙ্গে কদিন ধরেই চীনের টানাপোড়েন চলছে৷ তাই তো সম্মেলনের ফাঁকে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেননি চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এবং ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো একুইনো৷

এদিকে পূর্ব চীন সাগরের একটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছে চীন আর জাপানের মধ্যে৷ দ্বীপটির মালিক জাপানের এক পরিবার এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করছে জাপান৷ কিন্তু চীন তা মানতে রাজি নয়৷ এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হলে সম্প্রতি জাপান এই দ্বীপটি কিনে নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানায়৷ কিন্তু এ ধরণের ‘ভুল সিদ্ধান্ত' না নিতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও৷ অ্যাপেক সম্মেলনের ফাঁকে তিনি মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিকো নোদা'র সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন৷ যদিও গত কয়েকদিনের শীতল সম্পর্কের কারণে এই বৈঠকটি হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহে ছিলেন বিশ্লেষকরা৷

এদিকে জাপান নিয়ন্ত্রিত দ্বীপের প্রতি চীন আপত্তি জানালেও দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ন্ত্রিত একটি দ্বীপের প্রতি আপত্তি জানিয়েছে জাপান৷ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে দ্বীপটি ‘দোকদো' নামে পরিচিত হলেও জাপানের কাছে সেটি পরিচিত ‘তাকেশিমা' নামে৷ এই একটি দ্বীপ নিয়ে উত্তেজনার কারণে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের শীর্ষ নেতারা অ্যাপেক সম্মেলনে একে অপরকে এড়িয়ে চলেছেন৷

সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে এ ধরণের সম্পর্কে চিন্তিত আরেক অ্যাপেক সদস্য যুক্তরাষ্ট্র৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে অ্যাপেক সদস্যদের উচিত অর্থনৈতিক উন্নয়নে একে অপরকে সহায়তা করা৷ কেননা এই সংস্থা বিশ্বের চালক৷ এই সংস্থার দেশগুলোর উন্নয়নের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের উন্নয়ন৷''

জেডএইচ / এএইচ (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য