রাস্তায় পাওয়া গেল হাজার হাজার ইউরোর টুকরো
জার্মানির এক শহরের বিভিন্ন রাস্তায় আর ফুটপাতে প্রায় ৯০ হাজার ইউরোর সমপরিমাণ ব্যাংকনোট পাওয়া গেছে৷ তবে নোটগুলো অক্ষত অবস্থায় নয়, পাওয়া গেছে টুকরো অবস্থায়৷
সব জায়গায় ছেঁড়া ইউরো
গত বছরের আগস্ট মাসে জার্মানির ডার্মস্টাড্ট শহরের বাসিন্দারা রাস্তায়, ফুটপাতে ও তাঁদের বাড়ির পাশে, বাগানে ইউরোর ছেঁড়া নোট পেতে থাকেন৷ তখন তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগে, নোটগুলো কি আসল?
গন্তব্য ব্যাংক আর পুলিশ স্টেশন
অনেকে কুড়িয়ে পাওয়া নোটগুলো ব্যাংকে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ কেউ কেউ অবশ্য পুলিশের কাছেও গেছেন৷ কিন্তু নোটগুলোর অবস্থা এতই শোচনীয় ছিল যে, সেগুলো দিয়ে কী করা যাবে তা ভেবে পাচ্ছিল না কর্তৃপক্ষ৷
আট হাজার অংশ
শহরের বাসিন্দারা সব মিলিয়ে ইউরো ব্যাংকনোটের প্রায় আট হাজার ছেঁড়া অংশ পেয়েছিলেন৷ এই অংশগুলোর কোনো কোনোটির আকার নখের মতো৷ তবে প্রায় কোনোটিরই আকার এক ইঞ্চির বেশি ছিল না৷
জোড়া দেয়া
ছেঁড়া ব্যাংকনোটগুলো জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ফ্রাউনহোফার ইনষ্টিটিউট ফর প্রোডাকশনস সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজাইন টেকনোলজি’র সঙ্গে মিলে ক্ষুদ্র অংশগুলো জোড়া দেয়ার কাজ শুরু করে৷
১০ মাসের পরিশ্রম
দুই প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষকরা প্রায় ১০ মাস কাজ করার পর জানতে পারেন, ডার্মস্টাড্ট শহরের অলিগলিতে আসলে কী পরিমাণ ইউরো ছড়িয়ে ছিল৷ প্রক্রিয়ার শুরুতে বিশ্লেষকরা ব্যাংকনোটগুলো আসল কিনা তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে নিয়েছিলেন৷
ডিজিটাল প্রক্রিয়া
একেকটি ইউরো ব্যাংকনোটে সেটি কত টাকার নোট তা তো লেখা থাকেই, নিরাপত্তার খাতিরে তাতে নানান গ্রাফিক ও হলোগ্রামও রাখা হয়৷ ছেঁড়া নোটগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে জোড়া লাগালে এই ছবিগুলোও মিলে যেতে হবে৷ সূক্ষ এই কাজ সফলভাবে করতে বিশ্লেষণের শুরুতেই নোটের অংশগুলো ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় জমা করা হয়েছিল৷
প্রায় ৯০ হাজার ইউরো!
বিশ্লেষকরা যখন কাজ শুরু করেন তাঁদের ধারণা ছিল, কুড়িয়ে পাওয়া অংশগুলো হয়ত ১৫ হাজার ইউরোর সমপরিমাণ ব্যাংকনোটের হতে পারে৷ কিন্তু পরে জানা যায়, এর মূল্য প্রায় ৯০ হাজার ইউরো! এর মধ্যে ৫০০ ইউরোর নোট আছে ১৩৮টি, ১০০ ইউরোর ২৪টি, ৫০ ইউরোর ৩৫৫টি ও ১০ ইউরোর একটি নোট৷ তবে মাত্র ৫০টি ৫০ ইউরোর নোট জোড়া লাগানো গেছে৷ বাকিগুলোর কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া না যাওয়ায় সেগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়েছে৷
কারণ?
কে বা কারা এবং কী উদ্দেশ্যে ব্যাংকনোটগুলো ছিঁড়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দিয়েছিল তা এখনও জানা যায়নি৷ এ ব্যাপারে জনগণকে তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ৷