1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে

২৩ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র মামলা করতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল৷ বাংলাদেশের তদন্তকারীরা বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/2ZpVj
Bangladesch Gebäude der Bangladesh Central Bank
ছবি: Reuters/A. Rahman

ছয়মাস আগে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয় বলে বাংলাদেশের তদন্ত কর্মকর্তাদের একজন ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷

ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল-এর খবরে বলা হয়েছে, মামলাটি দায়ের করা হলে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের সহযোগিতাকারী চীনা মধ্যস্বত্বভোগীকেও আসামি করা হতে পারে৷

তদন্তের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানেন এমন একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘লস অ্যাঞ্জেলস ও নিউ ইয়র্কের এফবিআই-এর তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী৷’’ তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন৷ নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকেও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়৷

এদিকে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ‘‘সম্ভাব্য এ মামলায় উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের আসামি করা নাও হতে পারে৷ তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে৷’’ এর মধ্য দিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি একটি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবে৷

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকায় রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অ্যাডিশনাল এসপি রায়হান উদ্দিন খান ডয়চে ভেলের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি৷ তিনি জানান, ‘‘আমি ঠিক জানিনা এফবিআই উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে কী বলেছে৷ না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবেনা৷’’

‘আমাদের সঙ্গে তদন্ত নিয়ে এফবিআই-এর লিয়োজোঁ আছে’

তবে এই মামলার তদন্তের তদারকির সঙ্গে যুক্ত সিআইডি'র বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হেল বাকী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে৷ আমাদের এখান থেকে নয়৷ তাই এফবিআই শুরু থেকেই তদন্ত করছে৷ ছয় মাস বা তারো কিছু বেশি সময় আগে তাদের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় হ্যাকিং-এ যে সফটওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার একটি গ্রুপ তা ব্যবহার করে৷ ফলে তাদের বিষয়টিও তদন্তে নেয়া হয়৷’’

তিনি জানান, ‘‘এফবিআই-এর একজন ইনভেস্টিগেটর শুনানিতে উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার সন্দেহের কথা বলেছেন৷ এব্যাপারে আমাদের সঙ্গে তথ্য বিনিময় হয়েছে৷’’

সিআইডির ঐ কর্মকর্তা আরো জানান, ‘‘আমাদের সঙ্গে তদন্ত নিয়ে এফবিআই-এর লিয়োজোঁ আছে৷ আমরাও অফিসিয়ালি তথ্য এবং ব্যবস্থার জন্য কয়েকটি দেশে চিঠি লিখেছি৷ আর উত্তর কোরিয়ার বিষয়টির জন্য আমরা অপেক্ষা করছি৷’’

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া সম্ভব হয়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান