রুশ বিশ্বকাপের তরুণ তারকারা

এশিয়ান ফুটবলে ভালো খেলোয়াড় বিবেচিত হতে হলে যেমন হতে হয়, আজমুনের পরিসংখ্যান তার চেয়েও বেশ ভালো৷ ইরানের হয়ে ৩০ ম্যাচে অংশ নিয়ে ২২ গোল করেছেন ২৩ বছর বয়সি এই ফুটবলার৷ ইরানের আক্রমণভাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আজমুন৷

নেইমার পরবর্তী তারকা সম্ভবত পেয়ে গেছে ব্রাজিল৷ ২১ বছরের জেসুস গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ১৭ গোল কোরেছেন, ৫টি অসাধারণ গোলে সহায়তা (অ্যাসিস্ট) করেছেন৷ তিতের উজ্জীবিত ব্রাজিল দলে জেসুস নিঃসন্দেহে নজর কাড়বেন৷

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উরুগুয়ে আক্রমণ ও রক্ষণভাগে বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড় উপহার দিয়েছে৷ কিন্তু মধ্যমাঠ কাঁপাচ্ছেন ২১ বছরের বেটানকুর৷ গত মৌসুমে য়ুভেন্তাসের হয়ে ২৭টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি৷

আর্জেন্টিনা দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ভিড়ে আলাদাভাবে নজর কাড়ছেন লো সেলসো৷ মিডফিল্ডার হয়েও প্যারিস সঁ জার্মেই দলের হয়ে ৪৮ ম্যাচে করেছেন ৬ গোল, গোলে সহায়তা করেছেন সাতবার৷

অস্ট্রিয়ার রেড বুল জালসবুর্গকে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হুয়াং৷ এবার জাতীয় দলের হয়েও এমন সাফল্য দেখাতে চান তিনি৷

রুশ ফুটবলের তারকা গোলোভিন৷ কেমেরোভো অঞ্চলের এই তরুণ সিএসকেএ মস্কো দলে নিয়মিতই খেলছেন৷ এই গ্রীষ্মে তাঁকে দেখা যাবে রুশ জাতীয় দলে৷

বিশ্ব কাঁপাতে প্রস্তুত ফ্রান্সের ১৯ বছরের এই ইয়াং সুপারস্টার৷ প্যারিস সঁ জার্মেইর হয়ে গত মৌসুমে ২১ গোল করেছেন এমবাপে, সহায়তা করেছেন ১৬ টি গোলে৷ নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ফ্রান্সের হয়ে ট্রফি জেতার স্বপ্ন দেখছেন এমবাপে৷

রেয়াল মাদ্রিদে নিয়মিত খেলার সু্যোগ পাওয়া স্প্যানিশ তরুণ খেলোয়াড়দের অন্যতম ২২ বছরের আসেনসিও৷ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-২১ দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন আসেনসিও৷ এবার বিশ্বকাপেও তাঁকে দেখা যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়৷

গত বছর ডাচ প্রথম বিভাগ লিগে বেশ দাপট দেখিয়েছেন ২২ বছরের লোসানো৷ নিজে করেছেন ১৭ গোল, সহায়তা করেছেন ১১ গোলে৷ মেক্সিকোর ফুটবলপ্রেমীদের আশা, এই দাপট দেশের জার্সি গায়েও দেখাবেন লোসানো৷

ক্ষিপ্রতা, ট্যাকটিকস সব দিক দিয়েই জার্মান দলের অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে আলাদা৷ গত মৌসুমে কিছুটা বাজে সময় গেলেও, চ্যাম্পিয়নদের আশা, বিশ্বকাপে পুরনো ফর্মে ফিরে আসবেন ভেরনের৷