1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রেটিং কমলো ফ্রান্সের, জার্মানি এখনো শীর্ষে

১৪ জানুয়ারি ২০১২

ক্রেডিট রেটিং সংস্থা স্ট্যাণ্ডার্ড এণ্ড পুওরস, এসএণ্ডপি শুক্রবার ইউরোজোনের নয়টি দেশের রেটিং অবনমন করেছে৷ এর মধ্যে ফ্রান্স শীর্ষস্থান হারালেও, অবস্থান ধরে রেখেছে জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/13jiq
স্ট্যাণ্ডার্ড এণ্ড পুওরস এর লোগোছবি: picture-alliance/dpa

কেন অবনমন

এসএণ্ডপি বলছে, ইউরো সংকট সমাধানে ইইউ নেতারা সম্প্রতি যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেটা, হয়তো, পরিপূর্ণ নয়৷ ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়াকে ‘ট্রিপল এ' থেকে একধাপ নামিয়ে দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া মাল্টা, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়াকে এক ধাপ আর ইটালি, স্পেন, পোর্তুগাল ও সাইপ্রাসকে দুই ধাপ নীচে নামানো হয়েছে৷ তবে জার্মানি, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া, ফিনল্যাণ্ড, আয়ারল্যাণ্ড, লুক্সেমবুর্গ ও হল্যাণ্ড তাদের রেটিং ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে৷

প্রতিক্রিয়া

মোট নয়টি দেশের রেটিং'এ অবনমন করা হলেও সবচেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে ফ্রান্সে৷ কেননা সেখানে আগামী তিনমাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে৷ এমন সময়ে রেটিং'এ অবনমন প্রেসিডেন্ট সার্কোজির জন্য নেতিবাচকই বলা যায়৷ কেননা তিনি আবারও ক্ষমতায় যেতে চাইছেন৷ কিন্তু এসএণ্ডপি'র এই সিদ্ধান্তকে বিরোধীপক্ষ তাঁর চরম ব্যর্থতা হিসেবেই ভোটারদের কাছে তুলে ধরবে৷ ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলেন সার্কোজিও৷ তাই গতমাসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ফ্রান্সের রেটিং যদি কমে যায় তাহলে তিনি ‘মারা যাবেন'৷ অর্থাৎ ক্ষমতায় আবার ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করছিলেন তিনি৷ বাস্তবে হলোও সেটাই৷ তাই এসএণ্ডপি'র সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাতে তিনি নিজে না এসে পাঠিয়েছেন তাঁর প্রধানমন্ত্রীকে৷ উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সাল থেকে ফ্রান্স শীর্ষ রেটিং ‘ট্রিপল এ'তে ছিল৷

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতি বিষয়ক কমিশনার অলি রেন এসএণ্ডপি'র এই সিদ্ধান্তকে ‘সামঞ্জস্যহীন' বলেছেন৷ এবং মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, অতীতে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার রেকর্ড রয়েছে এসএণ্ডপি'র৷

জার্মানির প্রতিক্রিয়া

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলছেন, এই সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে যে, ইউরোপের উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে অনেক কাজ করতে হবে৷ তিনি বলেন, এর ফলে আশা করা যায়, ইউরো বাঁচাতে যে নতুন আর্থিক কাঠামো চুক্তির কথা হচ্ছে সেটা শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে৷ এছাড়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউরোজোনের জন্য একটা স্থায়ী বেইলআউট তহবিল গড়ে তুলতে হবে৷

চালকের আসনে জার্মানি

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ফ্রান্সের রেটিং'এ অবনমনের কারণে ইউরো নিয়ে আলোচনার টেবিলে এখন জার্মানি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে৷ কেননা এতদিন দেখা যেত, ইউরো নিয়ে কোনো আলোচনা মানেই চালকের আসনে জার্মানি ও ফ্রান্স৷ ফলে জার্মানি কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে ফ্রান্সের কারণে হয়তো সেটা করতে পারত না৷ কিন্তু এখন ফ্রান্সের নিজের অবস্থানই দূর্বল হয়ে যাওয়ায় হয়তো নেতার আসনে এককভাবে বসবে জার্মানি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য