ত্রিবেদীর অপসারণ
১৯ মার্চ ২০১২অবশেষে দীনেশ ত্রিবেদী রেলমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয়ায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুখরক্ষা হলো৷ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী, আগামীকাল নতুন রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মুকুল রায়৷ বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘাত যেভাবে লাগাতার প্রকাশ্যে আসছে তাতে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিচ্ছিল৷ রফা হিসেবে আজ সংসদে ঝাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে সরকারের বিপক্ষে ভোট না দিয়ে ওয়াকআউট করে তৃণমূল৷
আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে৷ আলোচনা হয় বিভিন্ন বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে৷ তবে আলোচনা ভালো হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ সম্ভবত রেলভাড়ার আংশিক সংশোধন করা হতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে৷ দিল্লিতে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, যা করার করবো৷তবে এমন কিছু করা হবেনা যা আমজনতার স্বার্থবিরোধী, এটাই দলের নীতি৷
প্রধানমন্ত্রী ত্রিবেদীর অপসারণে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, উনি রেল বাজেটে ২০২০ সালের রুপরেখা দিয়েছিলেন৷ সেই কাজ তাঁর উত্তরসুরিকে করতে হবে৷ এটাই হলো জোট রাজনীতির অসুবিধা৷ এর আগে সংসদে দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা সম্পর্কে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান বিরোধী বিজেপি ও বাম সাংসদরা৷ বলেন, সংসদকে অন্ধকারে রাখা অনুচিত৷
ইস্তফা দেবার পর রেলববনে দীনেশ ত্রিবেদী দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ভারতে প্রতিপদে বড্ড বেশি রাজনীতি৷ এতো বেশি রাজনীতি নিয়ে দেশ বাঁচতে পারেনা৷ এই সিস্টেমের ওপরে উঠতে না পারলে কোন ভালো কিছু সম্ভব নয়৷
পর্যবেক্ষক মহলের মতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের চটজলতি প্রতিক্রিয়া তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য৷ সেখানে অন্য কোনো যুক্তি বিবেচ্য নয়৷ বাস্তবকে অস্বীকার করে প্রশাসন কেবল আবেগতাড়িত হলে চলে না৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ