রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে' আরসা কমান্ডার নিহত
১০ জুলাই ২০২৩উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর ক্যাম্পে এ আজ সকালে নিহত হোসেন মাঝি (৪০) আরসার অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন৷ কক্সবাজারের ৭ থেকে ৮টি শরণার্থী শিবিরে তার নির্দেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হতো বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ৷
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এই অধিনায়ক ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ আজ (সোমবার) খুব ভোরে ক্যাম্প ৮-এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এই ক্যাম্পে গত শুক্রবারে ৬ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছিল৷'
'অভিযানের সময় জানতে পারে ২০-৩০ জন সদস্য নিয়ে একটি অপরাধী চক্র ক্যাম্প ১৭ থেকে পুলিশ বাহিনীর দিকে আসছে৷' এই খবর পাওয়ার পর এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প ১৭-এর দিকে আভিযান শুরু করে বলে জানান তিনি৷
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, 'ভোর ৫টার দিকে ক্যাম্প ১৭ তে উভয় পক্ষ একে অপরের মুখোমুখি হলে অপরাধী চক্র পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷'
'জবাবে পুলিশ অপরাধীদের দিকে পাল্টা গুলি চালায় এবং বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যা সকাল ৭টা পর্যন্ত চলতে থাকে,' বলেন পুলিশ কর্মকর্তা৷ তিনি আরও বলেন, 'বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে অপরাধী চক্র পাশের পাহাড়ে চলে যায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে৷'
সকাল ৭টার পর তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হোসেন মাঝির মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানান৷ এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
শুক্রবার সকালে ক্যাম্প ৮-এ রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন আরসা সদস্য নিহত হন৷
ওই দিন সন্ধ্যায় শিবিরের কাছেই আরেক আরসা সদস্যের ছুরিকাঘাত করা মরদেহ পাওয়া যায়৷
ঘটনার আগের দিন, আরএসও সমর্থক বলে ধারণা করে এক রোহিঙ্গা নেতাকে (সাব মাঝি) কাছের একটি শিবিরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছিল৷ আরসা সদস্যরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে আভিযোগ আছে৷
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে৷ তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে এখানে এসেছিল৷
এনএস/এসিবি (দ্য ডেইলি স্টার)