1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে উদ্বুদ্ধ করছে বিদেশি এনজিও’

৭ আগস্ট ২০১২

বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় রোহিঙ্গাদের মাঝে কাজ করা তিনটি বিদেশি এনজিও’কে ১৫ই আগস্টের মধ্যে তাদের অফিস গুটিয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তাদের কাজকর্ম৷

https://p.dw.com/p/15kkK
A powerless or engineless boat loaded with Rohingya refugees, moments before it was rescued by Indian Coastguards off Andaman Islands. Thai authorities forced the boatpeople board this boat which was then towed out to the middle of the sea and left to drift with very little food and water. Copyright: Asiapics 2010, near Andaman & Nicobar Islands, India
Bangladesch Rohingya Bootsflüchtlingeছবি: Asiapics

বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকার দু'টি ক্যাম্পে প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বসবাস৷ তবে এর বাইরে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে৷ সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গায় বিপর্যন্ত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলেও, তেমন সফল হয়নি তারা৷ বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিয়েছে৷ আর নতুন করে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের ‘পুশব্যাক' করা হচ্ছে৷

কক্সবাজার এলাকায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পুষ্টি এবং খাদ্যসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছিল ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ, অ্যাকশন এগেনস্ট হাঙ্গার বা এসিএফ এবং ব্রিটেন মুসলিম এইড ইউকে৷ গত ৩০শে জুলাই সরকার এক চিঠির মাধ্যমে তাদের কাজকর্ম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে৷ সরকারি এই আদেশের কথা ডয়চে ভেলের কাছে স্বীকার করেন কক্সবাজের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন৷ তিনি বলেন, এই এনজিও'গুলো অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে কাজ করছিল৷ যা এক ধরনের সামজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে৷

MEDECINS SANS FRONTIERES logo, graphic element on white
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এর লোগো

ব্রিটেন মুসলিম এইড ইউকে'র প্রকল্প কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন ডয়চে ভলেকে জানান যে, তারা শুধু মানবিক সহায়তা দেন৷ এর মধ্যে চিকিৎসা, বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য অন্যতম৷ এতদিন তাদের কাজ চললেও তাদের হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে৷ তাই এ মাসের মধ্যেই তারা তাদের অফিস গুটিয়ে ফেলবেন বলে জানান তিনি৷ লিয়াকত হোসেন বলেন, তাদের দেয়া সরকারি চিঠিতে বলা হয়েছে ‘তাদের কাজ নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে উদ্বুদ্ধ করছে'৷

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এবং অ্যাকশন এগেনস্ট হাঙ্গার'এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা হলেও তারা এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ডয়চে ভেলের কাছে৷ তবে কক্সবাজারের উখিয়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি গফুর মিয়া চৌধুরী জানান, তিনটি এনজিও'র কাজ ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে৷ তাঁর মতে, এই এনজিও তিনটির সেবামূলক কর্মসূচি রোহিঙ্গাদের জন্য সত্যিই ভালো ছিল৷

তবে গফুর মিয়া জানান, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গারা এখন কক্সবাজার এলাকায় বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে৷ আর তাদের কারণেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য