‘রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে উদ্বুদ্ধ করছে বিদেশি এনজিও’
৭ আগস্ট ২০১২বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকার দু'টি ক্যাম্পে প্রায় ২৪ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বসবাস৷ তবে এর বাইরে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে যাবে৷ সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গায় বিপর্যন্ত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করলেও, তেমন সফল হয়নি তারা৷ বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিয়েছে৷ আর নতুন করে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের ‘পুশব্যাক' করা হচ্ছে৷
কক্সবাজার এলাকায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পুষ্টি এবং খাদ্যসহ মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছিল ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বা এমএসএফ, অ্যাকশন এগেনস্ট হাঙ্গার বা এসিএফ এবং ব্রিটেন মুসলিম এইড ইউকে৷ গত ৩০শে জুলাই সরকার এক চিঠির মাধ্যমে তাদের কাজকর্ম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে৷ সরকারি এই আদেশের কথা ডয়চে ভেলের কাছে স্বীকার করেন কক্সবাজের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন৷ তিনি বলেন, এই এনজিও'গুলো অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে কাজ করছিল৷ যা এক ধরনের সামজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে৷
ব্রিটেন মুসলিম এইড ইউকে'র প্রকল্প কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন ডয়চে ভলেকে জানান যে, তারা শুধু মানবিক সহায়তা দেন৷ এর মধ্যে চিকিৎসা, বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য অন্যতম৷ এতদিন তাদের কাজ চললেও তাদের হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে৷ তাই এ মাসের মধ্যেই তারা তাদের অফিস গুটিয়ে ফেলবেন বলে জানান তিনি৷ লিয়াকত হোসেন বলেন, তাদের দেয়া সরকারি চিঠিতে বলা হয়েছে ‘তাদের কাজ নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশে উদ্বুদ্ধ করছে'৷
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এবং অ্যাকশন এগেনস্ট হাঙ্গার'এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা হলেও তারা এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ডয়চে ভেলের কাছে৷ তবে কক্সবাজারের উখিয়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি গফুর মিয়া চৌধুরী জানান, তিনটি এনজিও'র কাজ ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে৷ তাঁর মতে, এই এনজিও তিনটির সেবামূলক কর্মসূচি রোহিঙ্গাদের জন্য সত্যিই ভালো ছিল৷
তবে গফুর মিয়া জানান, অনিবন্ধিত রোহিঙ্গারা এখন কক্সবাজার এলাকায় বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করছে৷ আর তাদের কারণেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ