রেয়াল-এর ট্রান্সফার নীতি
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪গত মরশুমে মাদ্রিদ যে তাদের দশম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জয় করে, তার পিছনে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর একটা বড় অবদান ছিল বৈকি – বলতে কি, তিনিই ছিলেন দলের ‘টপ স্কোরার'৷ কিন্তু রেয়াল এবার সেই ‘উইনিং টিম'-এর দু'টি স্তম্ভ – দুই মিডফিল্ডার সাবি আলন্সো ও আনখেল দি মারিয়াকে বেচে দিয়েছে এবং তাদের পরিবর্তে এনেছে টোনি ক্রোস ও খামেস রদ্রিগেজকে৷
রোনাল্ডো তা-তে খুশি নন৷ বিশেষ করে আলন্সোর বায়ার্ন মিউনিখ অভিমুখে বিদায় রেয়াল-এর বহু সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীর খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি৷ আলন্সোকে বাদ দিয়ে রেয়াল-এর মিডফিল্ড তার গুণগত উৎকর্ষ বজায় রাখতে পারবে কিনা, সেটাই ছিল প্রশ্ন৷ সে প্রশ্নের জবাব কিছুটা পাওয়া গিয়েছে গত রবিবার রেয়াল মাদ্রিদ রেয়াল সোসিয়েদাদ-এর কাছে ৪-২ গোলে হারার পরে৷ ইনজুরির দরুণ রোনাল্ডো সেদিন মাঠে নামতে পারেননি৷
তবে রোনাল্ডো যে মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন, তা-তে কোনো সন্দেহ নেই৷ নয়ত তিনি যে শহর শেরি নামধারী সুস্বাদু পানীয়টিকে তার (ইংরিজি ও আন্তর্জাতিক) নাম দিয়েছে, সেই খেরেস শহরে বিশ্বের সেরা ফুটবলার খেদ করে বলতেন না: ‘‘আমার এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট মতামত আছে, কিন্তু আমি যা ভাবি, তা আমি সব সময়ে বলতে পারি না৷ তা যদি না করতাম, তাহলে কাল কাগজের প্রথম পাতায় আমার নাম থাকত এবং আমি সেটা চাই না৷ কিন্তু আমি যদি (ক্লাবের) দায়িত্বে থাকতাম, তাহলে আমি হয়ত ওভাবে কাজ করতাম না৷ অপরদিকে প্রেসিডেন্ট (পেরেজ) যদি ভাবেন যে, দলের জন্য তিনি যে সব প্লেয়ার কিনেছেন, তা-তে দলের মঙ্গল হবে, তাহলে আমাদের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে৷''
তবে ‘কনস্ট্রাকশন' ব্যবসা থেকে কোটিপতি পেরেজ-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে খোলাখুলি বিদ্রোহ করার সাহস অথবা ক্ষমতা খোদ ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো-রও নেই৷ তাই রোনাল্ডো পরে আরেকটু নরম ভাবে বলেছেন: ‘‘নতুন প্লেয়াররা আসার ফলে খেলার স্টাইল বদলে যাবে, তবে সেটা ভালোর জন্যে কিংবা মন্দের জন্যে, দু'টোই হতে পারে৷ আশা করব, ভালোর জন্যই, কেননা ওরা খেলোয়াড় হিসেবে সত্যিই ভালো৷ ওরা ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারলে সেটাই স্বাভাবিক হবে৷ দি মারিয়া আর সাবি আমাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল কিন্তু তারা আর এখানে নেই এবং আমাদের নতুন প্লেয়ারদের নিয়ে খুশি থাকতে হবে৷ ব্যাপারটা শেষমেষ আমাদের পক্ষে ভালোই হবে৷''
হবে তো?
এসি/ডিজি (রয়টার্স)