রোমের ট্রেভি ফোয়ারায় ফেলা মুদ্রা দিয়ে কী করা হয়?

১৭৬২ সালে রোমের পালাজ্জো পোলি এলাকায় ট্রেভি ফোয়ারার নির্মাণকাজ শেষ হয়৷ রোমের অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি৷

ফোয়ারা দেখতে যাওয়া পর্যটকেরা ইচ্ছাপূরণ হবে এই আশায় মুদ্রা নিক্ষেপ করেন৷ তাদের কেউ ভালোবাসা খোঁজেন, কেউ সুস্বাস্থ্য আশা করেন, আবার অনেকে রোমে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেন৷

ফোয়ারায় ফেলা মুদ্রা সংগ্রহ করে ক্যাথলিকদের দাতব্য সংস্থা কারিতাসের রোম শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে সেগুলো শুকিয়ে গণনা করা হয়৷ সেই অর্থ ফুড ব্যাংক, সুপ কিচেন ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে দান করা হয়৷

২০২২ সালে প্রায় ১৭ কোটি টাকা সমপরিমাণ মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল৷ ২০২৩ সালে আরও বেশি অর্থ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে৷ কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পর্যটক যাওয়া শহরের একটি রোম৷ বছরে গড়ে দুই কোটির বেশি পর্যটক শহরটিতে ঘুরতে যান৷

ডানহাতে মুদ্রা নিয়ে বাম ঘাড়ের পাশ দিয়ে ফেলা হলে আপনি আবার রোমে ফিরতে পারবেন এমন কথা চালু আছে৷

ফোয়ারার পাশে ঝুলানো সাইনবোর্ডে মুদ্রাগুলো যে দাতব্য সংস্থায় দেওয়া হবে তা উল্লেখ করা আছে৷ বিষয়টি অনেক পর্যটক পছন্দ করেন৷ ব্রাজিল থেকে যাওয়া পর্যটক ইউলা কোল বলেন, মুদ্রা ফেলে তিনি এমন এক ইচ্ছা প্রকাশ করতে চেয়েছেন, যা তার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি৷ ‘‘তবে আমি এটাও জানি, মুদ্রা শুধু ওখানে পড়ে থাকবে না৷ এটা অসহায় মানুষদেরও সহায়তা করবে,’’ বলেন তিনি৷

সপ্তাহে দুইবার মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়৷ আর ফোয়ারা পরিষ্কারের জন্য মাসে দুইবার পানি সরিয়ে নেওয়া হয়৷

মুদ্রা ছাড়াও অলংকার, দাঁতের পাটি, ধর্মীয় মেডেল, এমনকি নাভিরজ্জুও পাওয়া যায়৷

মুদ্রা চুরি না করার জন্য সতর্কতা জারি করা আছে৷ তবুও অনেকসময় অনেককে লাঠির মাথায় চুম্বক লাগিয়ে মুদ্রা চুরির চেষ্টা করতে দেখা যায়৷