রোহিঙ্গা শরণার্থী
১৬ জুন ২০১২পাশাপাশি এই ইস্যুতে জাতিসংঘেরও নিরপেক্ষা ভূমিকা আশা করছেন তাঁরা৷
এই নিয়ে স্বাধীনতার পর তৃতীয়বারের মত বড় আকারে রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে৷ পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার এইসব রোহিঙ্গাকে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না, যদিও কয়েক শত বছর ধরে তারা সেই অঞ্চলে বাস করে আসছে৷ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর গত এক সপ্তাহে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান শরণার্থী টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন মনে করছেন, মানবিক কারণে হলেও এইসব শরণার্থীদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া উচিত ছিলো৷ এরপর উচিত হতো মিয়ানমার সরকারের ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা৷
একই মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট এলিনা খান৷ তিনি মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ তাই তাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত৷ এরপর জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়া যেতো৷
তবে জাতিসংঘের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কেবল একতরফা আহ্বান লক্ষ্য করা গেছে৷ শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি তারা আহ্বান জানালেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন বন্ধ নিয়ে জাতিসংঘের কোন কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে না৷ অধ্যাপক আকমল হোসেন মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মুরুব্বি সংগঠন হিসেব জাতিসংঘের ভূমিকা এই ক্ষেত্রে হতাশাজনক৷
এদিকে গত কয়েকদিনে মিয়ানমারে দাঙ্গায় অর্ধশত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের সরকারি সংবাদ মাধ্যম৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়