রোহিঙ্গা শিবিরের অবস্থা ‘খুব খারাপ'
২০ এপ্রিল ২০১৮তিনি বলেন, ‘‘দেখাতেই বিশ্বাস৷ আমরা দেখেছি শিবিরগুলোতে তাঁরা খুব খারাপ অবস্থায় আছে৷ আমাদের মূল উদ্দেশ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু করা, কারণ শিগগিরই বর্ষাকাল শুরু হচ্ছে এবং যারা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে তাদের নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন৷''
মিয়ানমারের এই মন্ত্রী বলেন, যাঁরা ফিরে আসবেন তাঁরা প্রথমে ‘ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড' বা এনভিসি-র জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ এরপর যাচাই প্রক্রিয়া শেষে যাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তাঁরা পাঁচ মাসের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন৷
এদিকে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রথম ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ এতে শিবিবের মধ্যে চলাচলের রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে বলে ত্রাণ কর্মীরা জানিয়েছেন৷
একটি ত্রাণ সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রেগিনা কাট্রাম্বোন জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেন, পাহাড়ের কোলে গাছ কেটে তৈরি করা শিবিরে বাস করছেন রোহিঙ্গারা৷ অতিবৃষ্টিতে সেগুলো ভেঙে পড়ার আশংকা রয়েছে৷ এছাড়া শিবির এলাকায় অস্থায়ীভাবে তৈরি করা সেতুর প্রায় ৭৫ শতাংশ ভেঙে পড়তে পারে৷ সেক্ষেত্রে লোকজন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷
সৈন্যদের আইন মানতে বললেন সেনাপ্রধান
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং লাইং সেনা সদস্যদের সামরিক ও আন্তর্জাতিক আইনকানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধানের ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত এক স্ট্যাটাসের অনুবাদ থেকে এই তথ্য জানা গেছে৷ সামরিক এক স্কুলে এই বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান৷ এই সময় তিনি সম্প্রতি রোহিঙ্গা গণহত্যায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাত সেনাসদস্যের কথা উল্লেখ করেন৷ গত সেপ্টেম্বরে রাখাইনের ইন ডিন গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যায় ঐ সেনারা অংশ নিয়েছিলেন৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)