রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর আগামী মাসে শুরু
২২ অক্টোবর ২০১৯নভেম্বরের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নৌকায় করে এদের ভাসান চরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
বর্তা সংস্থা ডিপিএ-কে মাহবুব তালুকদার বলেন, পরাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে না চাইলে তাদের জোর করা হবে৷ জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সেখানে স্থানান্তর করা হবে৷
তবে ভাসান চর বসবাসের উপযোগি কিনা, এনিয়ে সতর্ক করেছে বিভিন্ন সহায়তা সংস্থাগুলো৷ এই দ্বীপটি বর্ষার সময় মানুষের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তারা৷
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের মুখে ২০১৭ সালে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ আগে থেকে আরো চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছিল৷
বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে সম্মত হয়েছে বলে জানান মাহবুব তালুকদার৷
পলি জমে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ভাসানচরে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়৷ আর প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করে মাত্র দেড় বছরে চরটিতে এক লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়৷ দ্বীপটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনী এসব তথ্য জানিয়েছে৷
ভাসনচরে স্টিল এবং কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি একেকটি ভবনে ১৬টি ১২ বাই ১৪ ফুট ঘর রয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতে এক পরিবারের চারজন করে থাকতে পারবেন৷ নারী ও পুরুষের জন্য রয়েছে আলাদা বাথরুম৷ প্রতিটি ভবনে ৬৪ জনের জন্য থাকছে দুটি রান্নাঘর যেখানে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চুলা ব্যবহার করা যাবে৷
চরটিতে বিদ্যুতের জোগান দিতে জেনারেটরের পাশাপাশি রয়েছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় আয়োজন৷ টিউবওয়েল ছাড়াও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এই দ্বীপে৷ পাশাপাশি রয়েছে অনেক পুকুর, যেখানে মাছচাষ সম্ভব৷
ভাসানচরে গড়ে তোলা এই শহরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ৷ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে চরটিতে শীঘ্রই ১২০টি সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হবে৷
কক্সবাজারের জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন৷ বাংলাদেশ সরকার সেখান থেকে একলাখ শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তরের চিন্তাভাবনা করছে৷
এসআই/কেএম (ডিপিএ)