বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠক শুরু
২২ নভেম্বর ২০১৭বুধবার দু' দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুরু হয় এ বৈঠক৷ সকালের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলি ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলের দপ্তর মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে দিনের দ্বিতীয় বৈঠক৷
বৃহষ্পতিবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি'র সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক হবার কথা রয়েছে৷
এ বছরের আগস্ট থেকে সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে ছয় লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে৷ এ বৈঠকের মূল লক্ষ্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নির্বিঘ্নে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা৷
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণের আহ্বান জানানো হতে পারে৷ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মঙ্গলবার মিয়ানমারে এক সংবাদ সম্মেলনে অং সান সু চি জানান, বাংলাদেশের সাথে এ সপ্তাহের মধ্যেই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়৷ তবে, রাখাইন রাজ্যে রাতারাতি শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন সু চি৷ তিনি বলেন, ‘‘রাতারাতি কিছুই করা যাবে না৷ কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আমরা ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হবো৷’’ তবে বাংলাদেশের এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করার আগ্রহ থাকলেও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সম্মতি পাওয়া যায়নি৷
সদ্য শেষ হওয়া আসেম বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি ফ্রেডরিক মোঘেরিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সত্যিকারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷’’ তিনি বলেন, ইইউ সামনের দিনগুলোতে এ প্রক্রিয়াতে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকবে৷ ইইউ'র পক্ষ থেকে রাখাইনে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশ বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়৷
আরএন/এসিবি (ইউএনবি)