1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোয়ানুর পর বন্যা, নদী ভাঙন

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ জুন ২০১৬

বাংলাদেশের দক্ষিণের ১৭ জেলার মানুষ এবার রোয়ানুর পর বন্যার কবলে পড়েছে৷ একমাস আগে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি হারানো মানুষরা এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি৷ এরমধ্যে এই মৌসুমী বন্যা তাদের আরো বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1JAgg
মিয়ামমারে সাইক্লোন
ছবি: Soe Than Win/AFP/Getty Images

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, চলতি বছরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এরইমধ্যে কোনো কোনো এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ বর্ষাকাল শুরু হওয়ায় পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে৷ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে৷ আর যারা রোয়ানুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারাই বন্যার কবলে পড়ছেন সবার আগে৷

এক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেক দুর্যোগে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ৷ তাই তাদের জন্য জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি৷ তারা এমন অবস্থায় আরো মানবিক সাহায্য প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে৷

রেড ক্রিসেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে বাংলাদেশে সমূদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন৷ আর ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১৩ লাখ মানুষ৷’

এম এ আহাদ চৌধুরী

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের প্রধান কর্মকর্তা আজমত উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় পাঁচ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়৷ ঝড়ের কারণে সমূদ্রের উঁচু ঢেউয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিধসও দেখা দেয়৷''

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কৃষিজমিতে লবণাক্ততা সৃষ্টি হয়েছে৷ অনেকের আয়-রোজগারের একমাত্র উপায় নৌকা ও জাল নষ্ট হয়েছে৷ অনেকের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে৷ এছাড়া পানীয় জল এবং খাবারের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে৷

দক্ষিণের জেলা ভোলার স্থানীয় সাংবাদিক এম এ আহাদ চৌধুরী তুহিন ডয়চে ভেলেকে জানান, ভোলার মনপুরা ও তজুমদ্দিসহ কয়েকটি উপজেলার মানুষ রোয়ানুতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন৷ এখন আবার পানি বেড়ে বন্যাপরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ এর সঙ্গে আছে নিয়মিত নদীভাঙন৷ তিনি বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু ত্রান সহায়তা দেয়া হচ্ছে তবে তা পর্যাপ্ত নয়৷''

পিরোজপুর জেলার সাংবাদিক দেবদাস মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পিরোজপুরের পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া উপজেলায় রোয়ানুর পর ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে৷ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে৷ পানি পচে গেছে৷ নানা ধরণের রোগ, বিশেষ করে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে৷''

দেবাশিষ মজুমদার

তিনি জানান, ‘‘এর সঙ্গে আছে লবনাক্ততা৷ পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে৷''

দেবদাস জানান, ‘‘এই বর্ষায় পিরোজপুর এলাকায় এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি৷ তবে ভারী বর্ষায় পানি বাড়লে পরিস্থিতি খারপ হবে, কারণ, বেরিবাঁধগুলোর অবস্থা বেশ খারাপ৷''

রেড ক্রিসেন্ট জানায়, শুধু ঘূর্ণিঝড়ই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে এই সময়ে পানির ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছে৷ গত বছর একই সময়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়েছিল তিন ফুট, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার থেকে পাঁচ ফুট৷

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের প্রায় ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক দুর্গতদের জন্য কাজ করছেন৷ তবে হাজার হাজার মানুষের দুর্দশা লাঘবের বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এড়িয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে রেড ক্রিসেন্ট৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান