লকডাউন নয়, মাস্ক বাধ্যতামূলক করছেন বাইডেন
২০ নভেম্বর ২০২০আবার হু হু করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় স্টেটের গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন। তারপর তিনি জানিয়েছেন, ''লকডাউন করে অ্যামেরিকাকে স্তব্ধ করে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই। তবে সকলকে মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে।''
পাঁচজন ডেমোক্র্যাট ও পাঁচ রিপাবলিকান গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাইডেন। সেখানে করোনা মোকাবিলার পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। বাইডেনের বক্তব্য, ''অ্যামেরিকার প্রতিটি অঞ্চল, প্রতিটি সম্প্রদায় আলাদা। তাই জাতীয় স্তরে লকডাউন ঘোষণা করলে কাজ হবে না। বরং তাতে উল্টো ফল হবে।'' পরে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ''দেশ একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সামনের শীত আরো ভয়ঙ্কর হতে পারে।''
বাইডেন ট্রাম্পের মতো নন। তিনি বহুত্ববাদী। তাই তিনি স্টেটগুলির উপর লকডাউন চাপিয়ে দিতে চাননি। বরং বহুত্ববাদ ও বিভিন্নতাকে সম্মান জানিয়ে তিনি করোনা মোকাবিলার ছয় দফা পরিকল্পনা পেশ করেছেন। তাঁর এই পরিকল্পনার মধ্যে আছে, রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বৃদ্ধি, বেকারদের সহায়তা বাড়ানো, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, সহজে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
বাইডেনের দাবি, তাঁর করোনা পরিকল্পনা নিয়ে মতৈক্য হয়েছে। রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট গভর্নররা বাইডেনকে বলেছেন, ''এইটুকু আমরা করতেই পারি। এটা আমাদের সাধ্যের বাইরে নয়। কিন্তু দেশ হিসাবে আমাদের এক হতে হবে।'' এখানেও বাইডেন ট্রাম্পের থেকে আলাদা। বহুত্ববাদকে স্বীকার করে তিনি সকলকে নিয়ে এক হয়ে চলতে চান। বিভাজনের নীতি তিনি নিতে চান না।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, ''গভর্নরদের অর্থ দেয়া হবে। তাতে তাঁরা কাজ করতে পারবেন এবং দেশের অর্থনীতি আবার আগের মতো ঠিক রাস্তায় ফিরবে। আর করোনার মোকাবিলায় আমরা ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান নই। আমরা অ্যামেরিকান।''
তবে বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি এখনো এজেন্সিগুলির কাছ থেকে ব্রিফিং পাচ্ছেন না। আসলে ট্রাম্প প্রশাসন তাঁকে কোনো সহযোগিতা করছে না। যেহেতু তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষিত হননি, তাই এজেন্সিগুলি তাঁকে ব্রিফ করছে না।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)