বাংলাদেশে নৌ পরিবহন
৩ আগস্ট ২০১২বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট'এর নৌ স্থাপত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার সাহা বলেন, তাঁর জানা মতে সরকার এবার লঞ্চ দুর্ঘটনা এড়াতে কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে৷ যেমন লঞ্চ ছাড়ার আগে কতজন যাত্রী উঠলো সেটা গুণে দেখা হবে৷ এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট ঘাঁটে উপস্থিত থেকে লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো অংসগতি হচ্ছে কিনা – সেটা লক্ষ্য রাখবেন৷ গতবারও সরকার এ ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছিল৷ ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে৷
ড. সাহা বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের সংখ্যা দুই থেকে তিনগুন বেড়ে যায়৷ তাই এসময় অতিরিক্ত সাবধানতার প্রয়োজন৷ তবে অন্যান্য সময় বিশেষ করে দুর্যোগের সময় যদি সরকার কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করে তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকবেনা৷
বুয়েট'এর এই শিক্ষক বলেন, ফিটনেসবিহীন লঞ্চ যেন নদীতে নামতে না পারে সেটা তদারক করে নৌ অধিদপ্তর৷ সেজন্য তাদের কয়েকজন পরিদর্শক রয়েছে৷ তবে সংখ্যাটা এতই অপ্রতুল যে তাদের পক্ষে সব লঞ্চ পরীক্ষা করে দেখাটা সম্ভব নয়৷
তিনি বলেন, বুয়েট'এর একটা জরিপে লঞ্চগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে একেবারে শেষে, মানে ‘ডি' ক্যাটাগরিতে যে লঞ্চগুলো রয়েছে সেগুলো একেবারেই চলাচলের অযোগ্য৷ এবং দুর্ঘটনার কারণ সেগুলোই৷ সরকারের উচিত ঐ লঞ্চগুলোর চলাচলের অনুমতি বাতিল করে দেয়া৷
ড. সাহা বলেন, সরকারি পর্যায়ে কয়েকটি লঞ্চ রয়েছে৷ তবে সেগুলো অনেক পুরনো৷ মূলত আর্থিক কারণে সরকার লঞ্চের সংখ্যা বাড়াতে পারছে না বলে মনে করেন তিনি৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ