লটারির মাধ্যমে কালো টাকা নিতেন অনুব্রত?
১৬ নভেম্বর ২০২২গরুপাচার-সহ একাধিক মামলায় আগেই তৃণমূলের বীরভূম সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এখনো তিনি জামিন পাননি। সিবিআই-য়ের দাবি, এখনো অনুব্রত, তার মেয়ে এবং অনুব্রতের ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার হদিস মিলেছে। চার বছরে মোট আটটি অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, লটারির মাধ্যমে অনুব্রত এবং তার ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে কালো টাকা আসতো বলে সিবিআই সূত্র জানিয়েছে। যে কারণে, অনুব্রত, তার মেয়ে একাধিকবার কোটি কোটি টাকার লটারি পেয়েছেন। লটারির সংস্থার সঙ্গে আঁতাত করে একাজ করা হয়েছে বলে সিবিআই-য়ের প্রাথমিক অনুমান।
সিবিআই জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অনুব্রত, তার প্রয়াত স্ত্রী, মেয়ে এবং তাদের আত্মীয়দের মোট আটটি অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জমা পড়েছে। কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, কেন এই টাকা জমা পড়েছে, তার কোনো সদুত্তর এখনো অনুব্রত দিতে পারেননি। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, এটি কালো টাকা।
আগেই সিবিআই অনুব্রত এবং তার ঘনিষ্ঠদের লটারির টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, কীভাবে বার বার লটারির মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে অনুব্রতকে। বীরভূমের দুইটি সরকারি এবং একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আটটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে সিবিআই। ওই ব্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকেও একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। এছাড়াও তার মেয়ের নামে থাকা দুইটি সংস্থার একটির ডিরেক্টর বিদ্যুৎবরণ গায়েনের অ্যাকাউন্টেও বিপুল টাকা মিলেছে।
সিবিআইয়ের দাবি, শুধু টাকা নয়, অনুব্রত মণ্ডল এবং তার ঘনিষ্ঠদের কাছে নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিসও মিলছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
বিজেপি এবং সিপিএম-এর বক্তব্য, সকলের চোখের সামনেই অনুব্রত মণ্ডল এভাবে কালো টাকা করেছেন। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, অনুব্রতের কাছ থেকে যে সম্পত্তি মিলছে, তার পাই পয়সার হিসেব আছে। যথা সময়ে তা জানা যাবে। বিরোধীদের অবশ্য প্রশ্ন, মাছ ব্যবসায়ী থেকে তৃণমূলের জেলা সভাপতিতে পরিণত হওয়া অনুব্রত এত সম্পত্তি করলেন কী করে?
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)