লন্ডন অলিম্পিকের আর মাত্র ছ’মাস
২৮ জানুয়ারি ২০১২বয়েল জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের সূচনাতেই নাকি একটি সুবিশাল ঘণ্টা বাজবে৷ এলাহি অনুষ্ঠান হবে, হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে৷ তা'তে নাকি জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার প্রতিও শ্রদ্ধা জানানো হবে, কেননা ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিসের চেয়ে বেশি ব্রিটিশ আর কি থাকতে পারে৷
বয়েল যে এই সব খুঁটিনাটির কথা বললেন, সেটাই আশ্চর্য, কেননা অলিম্পিকের সবচেয়ে বড় সিক্রেট হল ঐ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ লন্ডন অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মটো হল ‘‘আইল অফ ওয়ান্ডার্স'' বা ‘আশ্চর্যের দ্বীপ', অনেকটা মহাকবি উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের ‘‘টেমপেস্ট'' নাটকের প্রেরণা নিয়ে৷ সেই সঙ্গে জুটবে পূর্ব লন্ডনের স্ট্র্যাটফোর্ড এলাকার কল-কারখানার স্মৃতি, কেননা অলিম্পিক পার্কের অবস্থিতি ঐ স্ট্র্যাটফোর্ডেই৷
বয়েল সিনেমার গল্প-বলিয়ে৷ তাই তিনি তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যতো বেশি সম্ভব ‘‘মানবতা'' রাখতে চান৷ আবার পরোক্ষভাবে বেইজিং অলিম্পিকসের সঙ্গে টক্কর নেওয়ার ইচ্ছেটাও স্বাভাবিক৷ তাই বেইজিং'এর ‘‘পাখির বাসা'' স্টেডিয়ামের পরিবর্তে লন্ডনের ‘‘পোর্সেলেইন বোওল''-এর কথা বললেন বয়েল৷ অর্থাৎ যেন একটা চীনেমাটির পেয়ালা, এ'পাশের মানুষরা ও'পাশের মানুষদের মুখ দেখতে পাবে৷
ঘণ্টা বাজিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করার প্রথা তো শেক্সপীয়ারের আমল থেকে চলে আসছে৷ বয়েল তাই দ্বারস্থ হন হোয়াইটচ্যাপেল বেল ফাউন্ড্রি'র৷ ১৫৭০ সালে স্থাপিত এই কারখানাটি সরকারিভাবে ব্রিটেনের প্রাচীনতম কারখানা৷ লন্ডনের বিগ বেনও এখানেই তৈরি হয়েছে৷ সেই হোয়াইটচ্যাপেল থেকেই বয়েল আনাচ্ছেন তার ২৭ টন ওজনের ঘণ্টা৷ ঘণ্টার ওপর খোদাই করা থাকবে শেক্সপীয়ারের টেমপেস্ট নাটকের একটা লাইন, যার অর্থ হল: ‘‘ভয় পেয়ো না৷ এই দ্বীপটা নানা ধরণের আওয়াজে ভরা৷''
সেই সাজ আর আওয়াজেরই কিছু নমুনা দেবেন ড্যানি বয়েল৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক