1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাদাখে সেনা সরানো নিয়ে ভারত-চীন মতৈক্য

৬ জুলাই ২০২০

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের মন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে টেলিফোনে কথা হলো। সেখানেই পুরো লাদাখ থেকে দ্রুত সেনা সরানো নিয়ে মতৈক্য হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3erVr
ছবি: DW/S. Ghosh

লাদাখে উত্তেজনা কমাতে পর্যায়ক্রমে ও দ্রুত সেনা সরাবে ভারত ও চীন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং চীনের স্টেট কাউন্সিলার এবং পররষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে ভি্ডিও কলে আলোচনায় এই মতৈক্য হয়েছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, ''দুই বিশেষ প্রতিনিধির মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। তাঁরা বিষয়ের গভীরে গিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা দুইজনেই একমত হয়েছেন যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরিয়ে নেবে। এর ফলে ওই এলাকায় সম্পূর্ণ শান্তি ফিরবে। তবে পর্যায়ক্রমে সেনা সরবে। দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলবে। কেউ একতরফা স্থিতাবস্থা ভাঙবে না। সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনও কাজ কেউ করবে না।''

গালওয়ানের মালিকানা কার?

বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ''চীন সবসময়ই তাঁদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখার পক্ষে। দুই তরফকেই মনে রাখতে হবে, তাঁরা একে অপরের বিপদের কারণ হবে না।''

সংবাদসংস্থা এএনআই সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, চীনা সেনা ইতিমধ্যে গালওয়ানে এক কিলোমিটার পিছিয়ে গেছে। সেখানে অস্থায়ী ছাউনিওতারা সরিয়ে দিয়েছে। গোগরা হট স্প্রিং এলাকাতেও সেনা সরছে। তবে গালওয়ান ছাড়া মূল যে দুইটি জায়গা নিয়ে বিরোধ, সেই প্যাং গং এবং ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি এবং ডেপসাং থেকে চীনের সেনা সরেনি।  অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে সেনা সরবে। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনাও চলবে। সেই আলোচনা হবে আগে থেকে বেঁধে দেওয়া কাঠামো অনুসারে।

গালওয়ানে দুই দেশের সেনা আগে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল। এখন সেনা সরার ফলে একটা বাফার জোন তৈরি হলো। অর্থাৎ, দুই দেশের সেনার মধ্যে দূরত্ব বাড়ল। তারা পরষ্পরের একেবারে মুকোমুখি থাকল না। ফলে গালওয়ানে অন্তত উত্তেজনা কমবে। 

এটাও ঠিক হয়েছে অজিত দোভাল এবং ওয়াং আবার আলোচনা করবেন। এই এলাকায় যাতে শান্তি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।

এর আগে ৬ জুন দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে সেনা সরানোর সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু তারপর ১৫ তারিখে গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষ হলো। এ বার আবার দোভাল এবং ওয়াং সেনা সরানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন।  কিন্তু প্রশ্ন হলোস এই সমঝোতার সফল রূপায়ণ কি হবে?

ভারতীয় সেনার অসরপ্রাপ্ত লেফটানান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''সমঝোতাহয়েছে এটা নিঃসন্দেহে ভালো খবর। গালওয়ান, গোগরা হট স্প্রিং এ সেনা সরছে। কিন্তু প্যাং গং-এর এক তৃতীয়াংশ মানে ৪৩ কিলোমিটারের একটু বেশি হলো আমাদের এলাকা। সেটা  ফিঙ্গার আট পর্যন্ত আসছে। ফিঙ্গার এক থেকে আট পর্যন্ত পুরো এলাকা থেকে সেনা সরাটা জরুরি। ডেপসং থেকে সরাটাও খুবই জরুরি। কারণ এটা আমাদের বিমানবন্দর দৌলত বেগ ওল্ডির কাছে। আমাদের সমানে নজর রাখতে হবে, প্রতিশ্রুতিমতো সেনা সরছে কি না। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে একটা সন্দেহ তো সবসময়ই থাকে।''     

জিএইচ/এসিবি  (ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রক, এএনআই)