1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাফিয়ে বাড়ছে জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি

২৯ এপ্রিল ২০২২

গত চার দশকে এই পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতি হয়নি জার্মানিতে। মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে সাত দশমিক তিন শতাংশে।

https://p.dw.com/p/4Aazt
জার্মানি
ছবি: Michael Bihlmayer/CHROMORANGE/picture alliance

১৯৮১ সালে পশ্চিম জার্মানি শেষ এমন দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি দেখেছিল। ইরান-ইরাক যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বহু গুণ বেড়ে যাওয়ার ফলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছিল। এবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ফের মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

গত মার্চি মাসে দেশের মুদ্রাস্ফীতি সাত দশমিক তিন শতাংশে পোঁছায় বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। চলতি এপ্রিল মাসে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে। যা গত চার দশকে ঘটেনি। হিসেব বলছে, জিনিসপত্রের দাম গত মার্চ মাসের তুলনায় সাত দশমিক চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা অভূতপূর্ব।

তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেই এই হারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, ইউরোপের আরো অনেক দেশের মতো জার্মানি তেল এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই দেশের এনার্জি খাতে ব্যয় বাড়তে থাকে। তারই প্রতিফলন ঘটছে সার্বিক অর্থনীতিতে।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। রাশিয়া যেভাবে পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে, এবার তা জার্মানিতেও করতে পারে। বস্তুত, তার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন চ্যান্সেলর। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, আগে থেকে আশঙ্কিত হয়ে লাভ নেই, পরিস্থিতি যেমন হবে, তার সঙ্গে লড়াই করতে হবে।

সমস্যা কেবল জার্মানির নয়। গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। গত একমাস ধরে কার্যত ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। হাঙ্গেরি জ্বালানি এবং খাবারের দাম ফ্রিজ করে দিয়েছে। জাপানে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আফ্রিকায় খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে, যা সামাজিক লড়াইয়ের চেহারা নিতে পারে। সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বজুড়েই এক অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ সেই অবস্থায় আরো ইন্ধন দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)