লিখিত সরকারি প্রতিশ্রুতির পর কৃষক বিক্ষোভ প্রত্যাহার
৯ ডিসেম্বর ২০২১সরকার কৃষকদের উপর থেকে সব পুলিশ কেস প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি মেনে নিয়েছে। মৃত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকারগুলি। এমএসপি বা ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য সহ বাকি দাবি একটি কমিটির কাছে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই কমিটিতে সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি বিশেষজ্ঞ, এবং সংযুক্ত কৃষক মোর্চার প্রতিনিধিরা থাকবেন। গতরাতে সরকারের তরফ থেকে লিখিতভাবে এই প্রস্তাব কৃষকদের দেয়া হয়। তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে দীর্ঘ বৈঠক করে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা(এসকেএম)। তারপর জানানো হয়েছে, আন্দোলন আপাতত শেষ।
এসকেএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার কৃষকদের বিরুদ্ধে করা সব পুলিশ কেস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশসরকার কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে। পাঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যেই তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এমএসপি নিয়েও ভরসা দিয়েছে। সরকার নিজে এমএসপি-তেই কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনবে। তাদের বাকি দাবি কমিটি বিবেচনা করবে।
ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় তাদের জয় উপলক্ষে প্রার্থনা করবেন কৃষকরা। পাঞ্জাবের কৃষকরা স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনা করবেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর বিজয় মিছিল হবে সিঙ্ঘু সহ দিল্লির দুইটি সীমানায়।
এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছিলেন, তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে। তারপর সংসদের শীত অধিবেশনের প্রথম দিনেই সরকার বিল পাস করে সেই তিনটি আইন প্রত্যাহার করে। কিন্তু তারপরেও কৃষকরা জানিয়ে দেন, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন না। কারণ, তাদের বিরুদ্ধে মামলা, মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং এমএসপি-কে আইনসঙ্গত করার দাবি সরকারকে মানতে হবে। প্রথম দুইটি দাবি মানা হয়েছে। এমএসপি নিয়ে সরকার কমিটি করে দিচ্ছে। এরপরই কৃষক নেতারা জানান, তাদের জয় হয়েছে। তারা এখন বিক্ষোভ থামিয়ে বাড়ি ফিরবেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি তারা সমীক্ষা বৈঠক করবেন।
কৃষক নেতাদের দাবি, স্বাধীনতার পর দেশের ৭৫ বছরের ইতিহাসে অন্যতম বড় ও সফল আন্দোলন করলেন কৃষকরা। কেরলের এক কৃষক নেতার দাবি, ''অনেকে আমাদের বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর মতো প্রবল শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের আন্দোলন করে লাভ নেই। কিন্তু আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেখিয়ে দিয়েছি, আন্দোলন করে জয় পাওয়া সম্ভব।''
জিএইচ/এসজি(পিটিআই)