1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া, সিরিয়াকে নিয়ে জাতিসংঘও সমস্যায়

২৭ এপ্রিল ২০১১

লিবিয়ায় গাদ্দাফি বাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে মোটামুটি অচলাবস্থা৷ কাজেই ন্যাটোর আগামীতে করণীয় কি, তা কারো জানা নেই৷ অপরদিকে সিরিয়াকে নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব ইত্যাদির একটা পর্যায় শুরু হওয়ার কথা৷

https://p.dw.com/p/114S9
মিসরাতায় গোলাবর্ষণের চিহ্নছবি: ap

লিবিয়াকে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজে দৃশ্যত বড় ফাটল ধরেছে৷ অথবা ফাটলগুলো আগে থেকেই ছিল৷ এখন যুদ্ধক্ষেত্রে অচলাবস্থার ফলে ফাটলগুলো দৃষ্টিগোচর হচ্ছে৷

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন একাধিক প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ করেছেন৷ পুটিন প্রশ্ন তুলেছেন: দুনিয়ায় তো বেয়াড়া শাসকদের কোনো কমতি নেই৷ তাহলে কি সর্বত্রই বোমা ফেলতে হবে এবং রকেট ছুঁড়তে হবে? ডেনমার্ক সফররত পুটিন আরো মন্তব্য করেছেন: গোড়ায় তো বলা হচ্ছিল, গাদ্দাফিকে মারার কোনো অভিপ্রায় নেই৷ এখন কিছু কর্মকর্তারা বলেছেন, হ্যাঁ, আমরা গাদ্দাফিকে মারার চেষ্টা করছি৷ কে তার অনুমতি দিল? কোনো বিচার হয়েছিল কি? এই লোকটাকে ফাঁসি দেওয়ার অধিকারটা নিল কে? অর্থাৎ পুটিন পরোক্ষে বলছেন: জাতিসংঘ যে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করার সনদ দিয়েছিল, মিত্রজোট তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷

আফ্রিকান ইউনিয়নও ক্ষুণ্ণ, কেননা তাদের অথবা তাদের আপোষের পরিকল্পনাকে বিশেষ আমল দেওয়া হচ্ছে না৷ তারাও তো আদ্দিস আবেবা'তে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে৷ মুশকিল এই যে, বিদ্রোহীরা আফ্রিকান ইউনিয়নের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে, কেননা তা'তে গাদ্দাফির বিদায়ের কোনো শর্ত নেই৷

Syrien Protest Demonstration Daraya
দামাস্কাসের দক্ষিণে দারায়া’য় একটি শিশুর হাতে বোর্ডে লেখা: ‘‘হত্যা বন্ধ করো!’’ছবি: AP

সিরিয়া প্রসঙ্গে মূল খবর, বিশ্ব নিরাপত্তা পরিষদে আজ বিক্ষোভকারীদের উপর ক্র্যাকডাউন নিয়ে বৈঠকে বসছে৷ মহাসচিব বান কি-মুন এবং মানবাধিকার কমিশনার নভি পিল্লাই ইতিমধ্যেই ঐ দমননীতির নিন্দা করেছেন এবং - সবচেয়ে বড় কথা - নিরপেক্ষ তদন্তের ডাক দিয়েছেন৷ এবং শ্রীলংকার মতোই, সিরিয়া সরকারও জানে যে এই তদন্ত ব্যাপারটা মাইন-বোমার মতো বহু পরেও আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷ তাই জাতিসংঘে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, দামাস্কাস নিজেই পুরো ব্যাপারটার তদন্ত করতে সক্ষম৷

এখন নিরাপত্তা পরিষদে কি ঘটবে বলে আশা অথবা আশঙ্কা করা যেতে পারে? কূটনীতিকরা বলছেন, চীন এবং রাশিয়া, উভয়েই সিরিয়াকে নিন্দা করার কোনো প্রস্তাবের বিরোধী৷ যুক্তরাষ্ট্র তো একাই সিরিয়ার বিরুদ্ধে চলতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগুলো আরো জোরদার করার কথা ভাবছে অথবা হুমকি দিয়েছে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান বিশেষ করে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ট্যাংক ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন৷ এবং সেটাই হয়তো সঠিক পন্থা: আপাতত কোনো সর্বাঙ্গীণ সমাধানের কথা না ভেবে, রক্তপাত কমানোর চেষ্টা করাই ভালো৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়