1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের দুর্দশার কাহিনী শুনলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

৬ এপ্রিল ২০১১

লিবিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের দুর্দশার খবর এখন সংবাদ শিরোনাম থেকে কিছুটা সরে এসেছে৷ হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি টিউনিশিয়া ও লিবিয়ার সীমান্ত পরিদর্শন করে তাদের দুঃখের কথা শুনলেন৷

https://p.dw.com/p/10o1h
অভিনয়ের পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক কাজেও সক্রিয় অ্যাঞ্জেলিনাছবি: AP

সামরিক বাহিনীর পাহারায় এক গাড়ি বহরে অ্যাঞ্জেলিনা যখন শরণার্থী শিবিরে এসে পৌঁছলেন, তখন সেখানকার অসহায় মানুষের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়লো৷ অনেকের কণ্ঠে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল, ‘‘অ্যাঞ্জেলিনা, আমরা তোমায় ভালবাসি''৷ ভাগ্যের অন্বেষণে আফ্রিকার অন্যান্য যেসব দেশের মানুষ লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন টিউনিশিয়ার অস্থায়ী শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন৷ তারা না পারছেন নিজেদের দেশে ফিরতে, লিবিয়ায় আবার কাজের সুযোগ আসবে কি না, তাও তারা জানেন না৷ নাইজেরিয়ার এক শরণার্থী জোলিকে বললেন, ‘‘আমরা আর এখানে থাকতে পারছি না, আমরা নাইজেরিয়ায় ফিরতে চাই৷ আপনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলুন৷''

Flash-Galerie Brad Pitt und Angelina Jolie in Syrien UNHCR
শরণর্থীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলছেন জোলিছবি: picture-alliance/dpa

অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আরেকটি পরিচয় হলো তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী কল্যাণ দপ্তরের ‘গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডার'৷ বিশ্বের বিভিন্ন সংকটপূর্ণ এলাকায় তাঁর যাতায়াত রয়েছে৷ গত মাসে তিনি আফগানিস্তান সফর করেছিলেন৷ জাতিসংঘের শরণার্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জোলি টিউনিশিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের কল্যাণে আরও আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন৷ তাছাড়া স্বামী ব্র্যাড পিট ও নিজের ফাউন্ডেশনের তরফ থেকেও কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন৷ শরণার্থীদের প্রতি উদারতা দেখানোর জন্য জোলি টিউনিশিয়ার সরকারের প্রশংসা করেছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম