লিবিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের দুর্দশার কাহিনী শুনলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
৬ এপ্রিল ২০১১সামরিক বাহিনীর পাহারায় এক গাড়ি বহরে অ্যাঞ্জেলিনা যখন শরণার্থী শিবিরে এসে পৌঁছলেন, তখন সেখানকার অসহায় মানুষের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়লো৷ অনেকের কণ্ঠে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল, ‘‘অ্যাঞ্জেলিনা, আমরা তোমায় ভালবাসি''৷ ভাগ্যের অন্বেষণে আফ্রিকার অন্যান্য যেসব দেশের মানুষ লিবিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন টিউনিশিয়ার অস্থায়ী শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন৷ তারা না পারছেন নিজেদের দেশে ফিরতে, লিবিয়ায় আবার কাজের সুযোগ আসবে কি না, তাও তারা জানেন না৷ নাইজেরিয়ার এক শরণার্থী জোলিকে বললেন, ‘‘আমরা আর এখানে থাকতে পারছি না, আমরা নাইজেরিয়ায় ফিরতে চাই৷ আপনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে চলুন৷''
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আরেকটি পরিচয় হলো তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী কল্যাণ দপ্তরের ‘গুডউইল অ্যাম্বাস্যাডার'৷ বিশ্বের বিভিন্ন সংকটপূর্ণ এলাকায় তাঁর যাতায়াত রয়েছে৷ গত মাসে তিনি আফগানিস্তান সফর করেছিলেন৷ জাতিসংঘের শরণার্থী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জোলি টিউনিশিয়া সীমান্তে শরণার্থীদের কল্যাণে আরও আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন৷ তাছাড়া স্বামী ব্র্যাড পিট ও নিজের ফাউন্ডেশনের তরফ থেকেও কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন৷ শরণার্থীদের প্রতি উদারতা দেখানোর জন্য জোলি টিউনিশিয়ার সরকারের প্রশংসা করেছেন৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম