1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লিবিয়াকে সোমালিয়া হওয়া থেকে রুখতে আর্জি কৌসার

১২ এপ্রিল ২০১১

সোমালিয়ার পথে যেন না যায় লিবিয়া৷ দুশ্চিন্তায় সেদেশের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কৌসা৷ ওদিকে এইউ-র প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি বাতিল করে দিল গাদ্দাফির বিরোধী বিদ্রোহীরা৷ তারা চায়, এখনই গাদ্দাফির পদত্যাগ৷

https://p.dw.com/p/10reE
গাদ্দাফির ছবির নীচে মার্চ পাস্ট সেনাবাহিনীর, ত্রিপোলিতেছবি: dapd

আগে গাদ্দাফিকে দলবল সহ হঠাও, দাবি বিদ্রোহীদের

বিদ্রোহীদের প্রথম থেকেই দাবি ছিল, অস্ত্রবিরতির অন্যতম শর্ত হবে গদ্দাফি সহ তার রাজ্যপাটের সকলের মূলোচ্ছেদ৷ কাউকে দেখতে চায় না তারা ক্ষমতায়৷ কিন্তু আফ্রিকীয় ইউনিয়নের চুক্তির খসড়া তা বলেনি৷ বিদ্রোহীরা অবিলম্বে গাদ্দাফি এবং তাঁর পুত্রদের দেশ থেকে বহিষ্কার চায়৷ তারপর অস্ত্রবিরতির প্রশ্ন৷ একথা সাফ জানিয়েছেন বেনগাজিতে সোমবার বিদ্রোহীদের শীর্ষনেতা মুস্তাফা আব্দুল জলিল৷ এ শহর বিদ্রোহীদের দখলেই রয়েছে৷

গাদ্দাফি আগেও মানে নি অস্ত্রবিরতি, বলছে ন্যাটো

ন্যাটোর সদরদপ্তর ব্রাসেলসে সোমবার ন্যাটো মহাসচিব রাসমুসেন তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, লিবিয়ার পরিস্থিতি কোনরকম মন্তব্যের বাইরে৷ লিবিয়ার গাদ্দাফি এইউ-র চুক্তিতে ঘাড় পাতলেও, এর আগে অস্ত্রবিরতির যাবতীয় নিয়ম ভেঙেছে৷ যথেচ্ছ অস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা সাধারণ মানুষের ওপর৷ অতএব, গাদ্দাফির ওপর ন্যাটোর হামলা এখনই থামছে না যে, সেটাই রাসমুসেনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট৷ সোমবারেও বিপুল পরিমাণে গাদ্দাফির সাঁজোয়া যানবাহন ধ্বংস করেছে ন্যাটোবাহিনীর বিমানহামলা৷

NO FLASH Libyen Kämpfe
রণাঙ্গন এখনও অশান্তই৷ছবি: AP

‘লিবিয়া যেন সোমালিয়া না হয়', আশঙ্কা মুসা কৌসা-র

আর লন্ডনে আবার সোমবার ছিল অন্য চিত্র৷ সেখানে মাত্র ১১দিন আগে গাদ্দাফির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে যাওয়া মুসা কৌসা লিবিয়া থেকে পালিয়ে, টিউনিশিয়া হয়ে ব্রিটেনে পৌঁছেই অজ্ঞাতবাসে চলে গেছেন৷ কাল রাতে বিবিসি-র কাছে মুখ খুললেন৷ লিবিয়ার গোয়েন্দাবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান এবং গত দুই দশক ধরে লিবিয়ার প্রশাসনের শক্তপোক্ত খুঁটি মুসা সাফ বলেছেন, লিবিয়াকে সোমালিয়ার মত গৃহযুদ্ধের শিকার না হতে দিতে চাইলে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে, সতর্ক হতে হবে৷ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি সেটাই তাঁর অনুরোধ আর বার্তা৷ গাদ্দাফি বনাম বিদ্রোহীদের পরিস্থিতিতে স্পষ্ট দুটো ভাগ হয়ে গেছে লিবিয়া৷ এবার গৃহযুদ্ধ আটকানো কঠিন৷ মুসা কৌসার আশঙ্কা যথার্থ৷ একদিকে উত্তর বনাম দক্ষিণ বিভাজন ছাড়াও তেলের ভাগ নিয়েও রয়েছে বিরাট বখেড়া৷ লিবিয়ার শীর্ষ ক্ষমতার অর্থ, তেলের টাকাও৷ সেই সম্ভাবনা যতই বাড়বে, ততই নিজেদের মধ্যে মারমারি শুরু করে দেবে বিভিন্ন গোষ্ঠী৷ শক্তমাপের গণতান্ত্রিক কাঠামো তাই প্রয়োজন বলে তাঁর অভিমত৷

লকারবিতে অভিযুক্ত কৌসা এখন ব্রিটিশ আশ্রয়ে

তাহলে দেখা যাচ্ছে, একদা এই মুসা কৌসার বিরুদ্ধেই লকারবি বোমা হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এসেছিল পশ্চিম থেকে৷ এখন তাঁকেই রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে গ্রেট ব্রিটেন৷ খেলা জমছে নতুন করে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার