লিবিয়ায় ন্যাটোর বিমানহামলায় নিহত বিপ্লবীরা
৮ এপ্রিল ২০১১ন্যাটোরই হামলা কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়
সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ আজদাবিয়া শহরের ওপর এবং আশপাশের অঞ্চল জুড়ে একটানা বিমানহামলা ন্যাটোবাহিনীর কারা চালাল, তা এখনও স্পষ্ট নয় এমনকী ন্যাটোর নিজের কাছেও৷ ন্যাটো বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে না দেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবে না৷
কী পরিমাণ বিমানহামলা
বিমান হামলা হয়েছে বেশ ভালোই৷ বিদ্রোহীদের একাধিক ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে৷ দুই সৈন্য এবং দুজন চিকিৎসাকর্মী মারা পড়েছেন৷ এছাড়াও ১৪ জনের গুরুতর আঘাত লেগেছে৷ এখনও নিখোঁজ ছয়জন, জানিয়েছে বিপ্লবীদের একটি সূত্র৷ তবে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভালোই বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে৷ একেকজন একেকরকম সংখ্যা বলে চলেছে৷ জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ'র দাবি, নিহত মোট ১০৷ রয়টার্স বলছে, নিহত ৫৷ তবে, হামলায় বিপ্লবীদের প্রচুর সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস হয়েছে৷ সবচেয়ে বড় কথা, আজদাবিয়া থেকে আতংকিত হয়ে মানুষ পালাতে শুরু করেছেন৷ কারণ, শহরবাসী একটানা এই হামলার মুখে পড়ে ভেবেছে হয়তো গাদ্দাফির বাহিনীই হামলা চালাচ্ছে৷ এ ধরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আর ওই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে কেউই থাকতে চায় নি৷
কী অবস্থা আজদাবিয়ার
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অবস্থা ভয়াবহ৷ এই বিমানহামলার পর সবাই আতংকে শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন৷ শহরের যত যানবাহন ছিল, সবকিছুতে মালপত্র বোঝাই করে নিয়ে আতংকিত হয়ে উর্দ্ধশ্বাসে সকলকে পালাতে দেখা গেছে৷ আসলে গত কয়েকদিন ধরে আজদাবিয়া আর ব্রেগার পরিস্থিতি মোটের ওপর শান্ত ছিল৷ হঠাৎ এই হামলায় হতচকিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী৷
বিদ্রোহীদের তরফ থেকে কোন মন্তব্য?
বিদ্রোহীদের সামরিক শীর্ষব্যক্তি জেনারেল আব্দুল ফাতা ইউনুস স্বয়ং আজদাবিয়া পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থাগুলিকে খবর দিয়েছেন৷ তিনি অবশ্য তাঁর বিবৃতিতে একথাও বলেছেন যে যুদ্ধের সময় এ ধরণের ভুল হয়েই থাকে৷ এর জন্য ন্যাটোর সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের কোনরকম অবনতি হবে না৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : জান্নাতুল ফেরদৌস