লিমন সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগী: ব়্যাবের তদন্ত কমিটি
২৩ মে ২০১১ঝালকাঠির রাজাপুরের জমাদ্দার হাটে ২৩শে মার্চ রাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন কলেজ ছাত্র লিমন হোসেন৷ লিমনের পরিবার এবং লিমন নিজে অভিযোগ করেন, ব়্যাব তার পায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে৷ ব়্যাব তখন দাবি করে, সন্ত্রাসী মোরশেদ সমাদ্দারকে ধরতে গেলে গেলাগুলির সময় লিমন গুলিবিদ্ধ হয়৷ এই ঘটনায় লিমনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা করে ব়্যাব৷ আর এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠে৷ ১০ই এপ্রিল লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম ব়্যাবের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন৷ এই ঘটনায় মোট ৪টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এর মধ্যে ব়্যাবের ২টিসহ ৩টির তদন্ত শেষ হয়েছে৷ আজ ব়্যাবের তদন্ত রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়৷ ব়্যাবের পরিচালক কমান্ডার সোহায়েল আহমেদ দাবি করেন, লিমনকে ব়্যাব সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেনি৷ তিনি দাবি করেন, শুধু লিমন নয় তারা বাবাসহ পুরো পরিবার সন্ত্রাসী মোরশেদ বাহিনীর সহযোগী৷
ব়্যাব মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান দাবি করেন, তিনি কখনো লিমনকে নিরীহ বলেননি৷ তার বক্তব্য বিকৃত করে প্রকাশ করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, এর আগে তিনি বলেছিলেন লিমন ঘটনার শিকার৷ তার মানে হল লিমন সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগী হিসেবে সেখানে থাকায় ঘটনার শিকার হয়েছে৷
এদিকে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাজ এখনো শেষ হয়নি৷ তারা আরো সময় চেয়েছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক