শতাব্দী প্রাচীন বউমেলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে প্রাচীন বটবৃক্ষের নীচে বসে শতাব্দী পুরনো বউমেলা৷ ছবিঘরে দেখুন বিস্তারিত৷
সুন্দর জীবন কামনা
সাংসারিক ঝগড়া-অশান্তি দূরে ঠেলে বাংলা নতুন বছরে স্বামীর সংসারকে ধনসম্পদে ভরিয়ে জীবনকে সুন্দর করে তোলার অভিপ্রায়ে প্রাচীন এক বটগাছকে পূজা করেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা৷
সিদ্ধেশ্বরীর মেলা
এ মেলার আরেক নাম সিদ্ধেশ্বরীর মেলা৷ শতাব্দী প্রাচীন যে বটগাছের নীচে মেলা বসে, সেই গাছকে হিন্দুধর্মাবলম্বী লোকজন ‘সিদ্ধেশ্বরী দেবী’ হিসেবে পূজা করেন৷ তাই এ মেলা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর মেলা নামেও পরিচিত৷
নারীদের অংশগ্রহণই বেশি
এ মেলায় নববধূ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারীরাই মূলত অংশগ্রহণ করেন৷ পুরুষরা এ মেলায় এলেও পূজায় অংশ নেন কেবল নারীরাই৷
বটবৃক্ষের গোড়ায় মাটি
মনবাসনা পূরণে প্রাচীন বটবৃক্ষ সিদ্ধেশ্বরী দেবীর গোড়ায় মাটি দেন গাঁয়ের বধূরা৷ এ মাটি তাঁরা নিয়ে আসেন পার্শ্ববর্তী পুকুর ও খাল থেকে৷
প্রার্থনা
সিদ্ধেশ্বরী দেবীর গোড়ায় মাটি দেওয়া শেষে সেখানে মোমবাতি জ্বালিয়ে পূজা করেন নারীরা৷
গাছে সিঁদুর
অনেক ভক্ত সিদ্ধেশ্বরী দেবীর গায়ে মেখে দেন সিঁদুর৷
ভোগ
অংশগ্রহণকারী সব নারীই নিজ নিজ বাড়ি থেকে ভোগ নিয়ে আসেন৷ ভোগ হিসেবে তাঁরা থালা ভর্তি ফলমূল আর মিষ্টান্ন নিয়ে আসেন৷
মন্ত্র পড়েন পুরোহিত
থালা ভর্তি এ সব ফলমূল আর মিষ্টান্ন তাঁরা রাখেন প্রাচীন সেই বটবৃক্ষের গোড়ায়৷ তখন নানান মন্ত্র পড়েন পুরোহিত৷
মূল পূজার শুরু
বটবৃক্ষের গোড়া পুণ্যার্থীদের ভোগে ভরে গেলে শুরু হয় পূজার মূল পর্ব৷
কপালে সিঁদুর
সিদ্ধেশ্বরী দেবীকে পূজা শেষে বধূরা একে অপরের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন৷
ভোগ নিয়ে বাড়ি ফেরা
পূজা শেষে বটতলা থেকে যার যার ভোগ নিয়ে বাড়ি ফেরেন বধূরা৷
লোকজ মেলা
বউমেলাকে কেন্দ্র করে সেখানে বসে তিন দিনের লোকজ মেলা৷ চৈত্র সংক্রান্তি, পয়লা বৈশাখ ও তার পরেরদিন চলে এ মেলা৷
সার্বজনীন মেলা
হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা হলেও বটতলার এই লোকজ মেলায় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করেন৷