শনিবার পালিত হবে আর্থ আওয়ার
২৪ মার্চ ২০১১জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা উপলক্ষে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এই আর্থ আওয়ারের শুরু৷ এক ঘন্টার জন্য অপ্রয়োজনীয় আলো বন্ধ করে রাখা হয় এই সময়টিতে৷ জ্বালানি অপচয় রোধ পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় মানুষকে আরও সংশ্লিষ্ট করতে এই উদ্যোগ নেন কিছু লোক৷ উদ্ভাবনী এই উদ্যোগে বেশ সাড়া মেলে৷ মাত্র তিন বছরের মাথায় এই উদ্যোগে সাড়া দেয় ১২৮টি দেশের সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শহর৷ আর্থ আওয়ার উপলক্ষে তারা বন্ধ রাখে তাদের অপ্রয়োজনীয় আলোগুলো৷
আগামী শনিবার এই বছরের আর্থ আওয়ারেও আগের চেয়ে বেশি সাড়া পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷ প্রথম আলোটা নিভবে ফিজি থেকে, এরপর নিউজিল্যান্ডের শাথাম আইল্যান্ডে৷ তারপর অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে এশিয়া ইউরোপ আফ্রিকা ও অ্যামেরিকার আলোগুলো একে একে নিভবে৷ এক ঘন্টার জন্য অন্ধকার হয়ে যাবে সিডনি অপেরা হাউজ, ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল মনুমেন্ট, লন্ডন আই এবং ব্রাজিলে যিশু মূর্তি৷
এই ধরণী ঘন্টার অন্যতম উদ্যোক্তা অ্যান্ডি রিডলে বলেন, আর্থ আওয়ার এখন নববর্ষের মতই৷ তবে এই বছর জাপানের ভূমিকম্প এবং সুনামির কারণে পরিবেশটি একটু ভিন্ন৷ উল্লেখ্য, চলতি বছরটিতে একের পর এক বড় আকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেখা পেয়েছে বিশ্ববাসী৷ অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ বন্যা, নিউজিল্যান্ডে স্মরণকালের ভূমিকম্পের পর জাপানের বিপর্যয় গোটা বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে৷ তাই প্রকৃতিকে বাঁচানোর আহ্বান নিয়ে পালিত আর্থ আওয়ারের সুরটা এবার অনেক বেশি জোরালো৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস