শরণার্থী গ্রহণে সংখ্যা বেঁধে দেবে না জার্মানি
৮ অক্টোবর ২০১৫জার্মানির সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি-কে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘সেটা কীভাবে সম্ভব? আপনি শুধু সীমান্ত বন্ধ করতে পারেন না৷'' শরণার্থী সংকট সামাল দিতে জার্মানির সামর্থ্য আছে উল্লেখ করে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘‘আমি যা করতে পারব না, সে ব্যাপারে অঙ্গীকার করার কোনো মানে নেই৷ আমরা ব্যবস্থা করে ফেলব৷ এ ব্যাপারে বেশ নিশ্চিত আমি৷''
নিজের ইতিহাস স্মরণ করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘ইউরোপ দুর্গ হতে পারে না৷ আমি দীর্ঘদিন বেড়ার পেছনে থেকেছি৷''
তবে শরণার্থী সংকটের সমাধানে ইইউ-র ২৮টি দেশেরও দায়িত্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷ বুধবার ইউরোপীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের ইইউ-র ২৮টি দেশের মধ্যে বণ্টন করতে ‘নতুন প্রক্রিয়া'-র প্রয়োজন৷ ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ বুধবার যৌথভাবে ইউরোপীয় সংসদে বক্তব্য রাখেন৷ বার্লিন প্রাচীর পতন যাবৎ এই প্রথম জার্মানি ও ফ্রান্সের নেতারা যৌথভাবে ইউরোপীয় সংসদে বক্তব্য রাখলেন৷
ডয়চে ভেলের ব্যার্ন্ড রিগ্যার্ট যৌথ বক্তব্যের বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে ২৬ বছর আগে ইউরোপীয় সংসদে দেয়া তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া মিতেরঁ-র যৌথ বক্তব্যের ঘটনাটি উল্লেখ করেন৷
জার্মানির যে টেলিভিশন চ্যানেলকে ম্যার্কেল সাক্ষাৎকার দেন সেই এআরডি ক'দিন আগে তাদের এক অনুষ্ঠানে হেডস্কার্ফ পরিহিত ম্যার্কেলের ছবি প্রচার করে বিতর্ক তৈরি করে৷ এরপর সামাজিক মাধ্যমে ঐ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ‘ইসলামবিরোধী প্রোপাগান্ডা' চালানোর অভিযোগ ওঠে৷ তবে চ্যানেলটি দাবি করেছে, ‘দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে' গ্রাফিকটি তৈরি করে তারা৷
মুসলিম ও খ্রিষ্টান শরণার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করলে ইউরোপীয় নেতারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলবে মন্তব্য করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘বিশ্বের খ্রিষ্টানদের রক্ষা করার আমরা কে, যদি না আমরা আমাদের দেশে একজন মুসলমান কিংবা একটি মসজিদকে গ্রহণ করতে না পারি? এভাবে চলবে না৷'' বুধবার ইউরোপীয় সংসদে ভাষণ দেয়ার আগে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ম্যার্কেল৷
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন ইইউ-র স্বরাষ্ট্র ও বিচারমন্ত্রীরা৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
‘শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো সীমা বেঁধে দেয়ার চিন্তা বাস্তবসম্মত নয়’ – আপনি কি ম্যার্কেলের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷