1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত ইউরোপ: মাস

৬ মার্চ ২০২০

নতুন করে কিছু সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত ইউরোপের কয়েকটি দেশ৷ এমন আভাস দিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ তুরস্ক-গ্রিস সীমান্তে নতুন করে তৈরি হওয়া শরণার্থী সংকটের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3YxlA
Türkei Tränengaseinsatz gegen Flüchtlinge an der Grenze zu Griechenland
ছবি: picture-alliance/AA/H. M. Sahin

মধ্যপ্রাচ্যের নতুন শরণার্থী সংকট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসেছে ইউরোপের  দেশগুলো৷ ইদলিবে রাশিয়া তুরস্কের অস্ত্রবিরতি আর সংকট সমাধানে ইউরোপের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা করবেন তারা৷

ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবের বৈঠকে যাওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল রাশিয়া-তুরস্কের অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ এর ফলে ইদলিবে মানবিক সহায়তার সুযোগ তৈরি হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

সম্প্রতি ইদলিবে তুরস্কের সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় আসাদ বাহিনী৷ এজন্য রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে তুরস্ক৷ এই পরিস্থিতিতে সেখানে নতুন করে সামরিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে৷ ইউরোপের সঙ্গে নিজেদের সীমান্ত খুলে দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান৷ দেশটিতে থাকা কয়েক লাখ শরণার্থীর বোঝা তুরস্ক আর বহন করবে না বলে ইউরোপকে জানিয়ে দেন তিনি৷ যার কারণে গ্রিস সীমান্তে নতুন করে শরণার্থী সংকট তৈরি হয়েছে৷

গ্রিসের সীমান্ত থেকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠকে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ শুক্রবার তিনি জার্মান রেডিও ডয়েচলান্ডফুঙ্ককে বলেন বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এজন্য প্রস্তুত রয়েছে৷

উল্লেখ্য, তুরস্কে বর্তমানে ৪০ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছে, যার ৩৬ লাখ সিরিয়ার নাগরিক৷ নতুন করে সামরিক সংঘাতের পর ইদলিবের আরো ১০ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে৷ তারাও তুরস্কে এসে আশ্রয় নিচ্ছে৷ এই শরণার্থীদের চাপ ইউরোপকে বহন করতে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন এর্দোয়ান৷

এফএস/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)