থাকার খরচ শরণার্থীদের দিতে হবে!
২৬ জানুয়ারি ২০১৬ঐ অতিরিক্ত অর্থ ঐ শরণার্থীরই ডেনমার্কে থাকার খরচ হিসেবে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে ডেনিশ সরকার৷ অর্থাৎ শরণার্থীরা যদি দেশ ছাড়ার সময় ঘড়ি, মোবাইল ফোনসহ এমন কিছু নিয়ে আসে যার অর্থমূল্য ১,৩৭০ ইউরোর চেয়ে বেশি, তবে সরকার সেগুলো নিয়ে নেবে৷ তবে আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে জড়িত স্বর্ণালংকার, যেমন বিয়ের আংটি ইত্যাদি নেয়া হবে না৷
ডেনমার্ক সরকারের এমন প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় কমিশনের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
তবে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অভিবাসন সংক্রান্ত মন্ত্রী জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন ও ডেনমার্কের নিজস্ব আইন মেনেই এই প্রস্তাব করা হয়েছে৷ ডেনমার্কের আইন অনুযায়ী, সেখানে বসবাসকারী কেউ যদি সরকারের সামাজিক ভাতা পেতে চায় তাহলে তার কাছে ১,৩৭০ ইউরোর বেশি সম্পত্তি থাকলে চলবে না৷
ডেনমার্কের অনেক নাগরিকও সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন৷ লেখক ক্রিস্টিয়ান মোর্ক দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন৷ সঙ্গে তিনি তাঁর দাদির আংটিটিও যুক্ত করে দিয়েছেন৷ বংশপরম্পরায় আংটিটি পেয়েছেন ঐ লেখক৷ মন্ত্রীকে মোর্ক জানান, তাঁর প্রোপিতামহ ১৮৬০ এর দশকে রাশিয়া থেকে যখন ডেনমার্কে এসে পৌঁছায় তখন, তাঁর জানামতে, তাঁকে (প্রোপিতামহ) কোনো সম্পত্তি জমা দিতে হয়নি৷ এখন সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে যাঁরা ভুক্তভোগী হবেন তাঁদের কথা মনে করে আপনাকে আংটিটি পাঠিয়ে দেয়া হলো৷
নিজের ফেসবুক পাতায় মোর্ক এই বিষয়টি শেয়ার করলে সেখানে পক্ষে-বিপক্ষে অনেকে মন্তব্য করেন৷ কার্স্টেন মারি ভাডে মোর্কের এই যুক্তির সঙ্গে একমত নন৷ ভাডে বলেন, মোর্ক যে সময়ের কথা বলছেন সেই সময় শরণার্থীদের জন্য বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া ও শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি৷ শরণার্থীদের নিজেদেরই চাকরি খুঁজে নিতে হয়েছে, জীবনযাপনের জন্য অর্থ আয় করতে হয়েছে
এদিকে, সুইডেনে তরুণ শরণার্থীদের একটি ক্যাম্পে ২২ বছরের এক নারী কর্মীকে তরুণ এক শরণার্থী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ পুলিশ সেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তবে তার নাম, পরিচয়, দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি৷ ক্যাম্পে কাজ করার সময় ঐ নারী কর্মীর উপর হামলা চালানো হয়৷ এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়৷ ক্যাম্পে ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সি শরণার্থীদের রাখা হয়৷