শরণার্থীদের সঙ্গী মোবাইল
১৩ আগস্ট ২০১৫ইউরোপে শরণার্থী সংকটের ক্ষেত্রে নিয়তির পরিহাস হলো, বহিরাগতরা ভৌগোলিক কারণে প্রথমে এমন সব দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যে সব দেশ অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে৷ তুরস্ক উপকূলের খুব কাছে গ্রিসের কস দ্বীপ এমনই এক ‘প্রবেশদ্বার'৷ এই মুহূর্তে সেখানে শরণার্থীদের ঢল নেমেছে৷ সংকটে জর্জরিত গ্রিসের সরকারের পক্ষে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে৷
সুইডেনের কূটনীতিক ও রাজনীতিক কার্ল বিল্ট এই পরিস্থিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, ‘‘প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি শরণার্থী গ্রিসে এসে পৌঁছাচ্ছেন৷ এ হলো সংকটের মধ্যে আরেক সংকট৷ এ অবস্থায় সংহতির প্রয়োজন রয়েছে৷''
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র মেলিসা ফ্লেমিং এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ২০১৪ সালের তুলনায় গ্রিসে শরণার্থীদের সংখ্যা ৭৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ শুধু জুলাই মাসেই ৫০,০০০-এরও বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন৷ বেশিরভাগ মানুষই সংঘর্ষ থেকে পালিয়ে এসেছেন৷
গ্রিসের কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের কীভাবে সারা রাত একটি স্টেডিয়ামের মধ্যে কার্যত বন্দি অবস্থায় রেখেছে, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন ব্র্যাডলি ডড৷
লেটিৎসিয়া পোলিৎসি লিখেছেন, ‘‘ইউরোপের জনসংখ্যা ৭৪ কোটি৷ বাড়তি ১০ লক্ষ শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া অবশ্যই সম্ভব এবং অতীতেও এমনটা করা হয়েছে৷'' এই বক্তব্যের সমর্থনে তিনি একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷
তথ্য, পরিসংখ্যান, নীতিমালার আড়ালে শরণার্থীদের প্রকৃতি পরিস্থিতি অনেক সময় আড়াল করে দেয়৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় সেই অবস্থা কিছুটা ধরা পড়েছে৷ সংবাদ সংস্থা এপি-র ভিডিও সাংবাদিক ডাল্টন বেনেট অরাজকতার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন৷
এএফপি-র আলোকচিত্রী স্টেফান আর্নো সিরিয়া থেকে সদ্য পৌঁছানো শরণার্থীদের একটি অভিনব ছবি তুলে ধরেছেন৷
টেলিভিশন সাংবাদিক জুলিয়া ম্যাকফারলেন আহমদ নামের এক সিরীয় শরণার্থীর ছবি শেয়ার করেছেন, যিনি তাঁর পোষা কুকুর টেডি-কে ফেলে আসতে পারেননি৷
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছেন মলি ক্র্যাব্যাপল৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, একদল শরণার্থী গ্রিসে পৌঁছে সেলফি তুলছেন৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ