শরীফ-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইমরানের
৪ নভেম্বর ২০২২ইমরান খান মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনা অফিসার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সালই তার বিরুদ্ধে হত্যা-চক্রান্ত করেছিলেন। ইমরানের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই সন্দেহের কথা জানিয়েছেন পিটিআই-এর সেক্রেটারি জেনারেল আসাদ উমর।
বৃহস্পতিবার লং মার্চের সময় এক বন্দুকধারী ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেসময় এক পিটিআই সমর্থক তার হাত ধরে ফেলে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ইমরানের পায়ে লাগে। ইমরানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জানানো হয়েছে, তিনি এখন ভালো আছেন। উমরও বলেছেন, তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, ইমরানের অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তার পায়ে বুলেট লেগেছে। একাধিক বুলেট।
আসাদ উমর একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইমরান খান জানিয়েছেন যে, তিনি আগে থেকেই জানতেন, তাকে হত্যা করার চেষ্টা হতে পারে। ইমরানকে উদ্ধৃত করে উমর বলেছেন, শরীফ, সানাউল্লাহ এবং মেজর জেনারেল ফয়সল এই আক্রমণের পিছনে ছিলেন। তাদের এখনই পদত্যাগ করতে হবে।
উমর জানিয়েছেন, ইমরান বলেছেন, যদি তারা পদত্যাগ না করেন বা তাদের সরানো না হয়, তাহলে দলের কর্মীরা দেশজুড়ে প্রতিবাদ জানাবে। পাকিস্তানকে এইভাবে শাসন করা যায় না। পিটিআই নেতা বলেছেন, দলের কর্মীরা ইমরানের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন, তিনি ডাক দিলেই কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করবেন।
উমর বলেছেন, ইমরান দেশের জন্য তার জীবন দিতে রাজি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
পিটিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফওয়াদ চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, ইমরানকে হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল। পায়ে বুলেট লাগার পর প্রচুর রক্তপাত হয়। এখন তিনি ভালো আছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি কর্মীরা ওই বন্দুকধারীকে চিহ্নিত না করত, তাহলে সে পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের সকলকেই মেরে দিত।
সেনা ও সরকারের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের সেনা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ(এন)-এর প্রধান নওয়াজ শরীফ, সহ-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি, সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ-সহ অন্য নেতারাও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।
যার দিকে ইমরান অভিযোগের আঙুল তুলেছেন, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ দাবি করেছেন, পাঞ্জাব সরকার অবিলম্বে যেন একটি যৌথ তদন্তকারী দল গঠন করে। তাহলে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হবে।
সাংবদিক সম্মেলন করে তার দাবি, সরকার কোনো ধরনের সহিংসতায় মদত দেয় না। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই একটা বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে পাঞ্জাব সরকারকে সব রকম সাহায্য করতে শরীফ সরকার প্রস্তুত।
জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এপি, জিও টিভি)