শরীর ঠিক আছে, ইডি হেফাজতে পার্থ
২৬ জুলাই ২০২২এরপরই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালত ভার্চুয়াল শুনানির পর রায় দেয়, ১০ দিন ইডির হেফাজতে থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় এনে সোজা পার্থকে ইডির দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
পার্থ-ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও দশদিনের ইডি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার বাড়ি থেকে ২২ কোটি টাকা, গয়না ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ। পার্থ ও অর্পিতা একসঙ্গে সম্পত্তি কিনেছেন বলেও আদালতে ইডি দাবি করেছে। পার্থর আইনজীবী তা মানতে চাননি। তিনি বলেছেন, অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের অর্থ এই নয় যে, অর্পিতা ও পার্থর মধ্যে সম্পর্ক আছে।
ইডি এখন পার্থ ও অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম
গ্রেপ্তার করার ঠিক আগে অভিযুক্তকে তার আত্মীয়-বন্ধুকে সেই কথা জানাবার সুযোগ দেয় ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সেই সুযোগ দিতে চেয়েছিল ইডি। পার্থ জানান, তার স্ত্রী মারা গেছেন। মেয়ে বিদেশে। দাদা আছেন, কিন্তু গভীর রাতে তার ঘুম ভাঙাতে চান না। তাই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযকে ফোন করতে চান। ইডির অফিসাররা বলেন, এই গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী কি আপনার ফোন ধরবেন? পার্থ বলেন, তিনি পরমাত্মীয়। তাই তিনি চান, গ্রেপ্তার হওয়ার খবরটা মমতাকে জানাতে।
একবার নয়, তিনবার মমতাকে ফোন করেছিলেন পার্থ। প্রথমে রাত ১টা ৫৫ মিনিটে, তারপর ২টো ১০ মিনিট নাগাদ। শেষ ফোন পরের দিন সকালে। কোনো ফোনই ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। ইডির অ্যারেস্ট মেমোয় মমতাকে ফোন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া পার্থ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি দলনেত্রীকে ফোন করেছিলেন, কিন্তু তিনি ধরেননি।
তৃণমূলের অভিযোগ, পার্থ এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা এই বিতর্কের মধ্যে টেনে এনেছেন। ফলে দল তার উপর চটেছে। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই বিতর্কের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
সিপিএম নেতা ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনো তৃণমূলের মহাসচিব। তাহলে তৃণমূল কীভাবে বলে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তার প্রস্তাব, মানুষ এর বিরুদ্ধে নিজেরাই আন্দোলনে নামুক।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)