অবশেষে সংলাপ!
২ মে ২০১৩নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপির নেতৃত্বে ১৮ বিরোধী দল৷ এ নিয়ে দেশে কয়েকমাস ধরে চলছে হরতাল, সংঘাত আর সংঘর্ষ৷ তবে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বিএনপি বৃহস্পতিবারের হরতাল স্থগিত করায়, কিছুটা আশার আলো দেখা দেয়৷ বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের এক বেঠকে বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান৷ শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো জায়গায় তারা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন৷ তবে সংসদ সবচেয়ে নিরপেক্ষ জায়গা, তাই সেখানে আলোচনা হলেই ভালো৷
এর জবাবে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু জানিয়েছেন, বিরোধী দল আলোচনায় রাজি৷ তবে আলোচনার বিষয় সুনির্দিষ্ট করতে হবে৷ এছাড়া, তত্ত্বাবধায়ক শব্দে সরকারের আপত্তি থাকলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা হতে পারে৷ কিন্তু প্রস্তাব হতে হবে লিখিত এবং সুনির্দিষ্ট৷
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব৷ বিএনপির শর্ত প্রসঙ্গে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, বিএনপির উচিত হবে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দেয়া৷ তাঁর মতে, আলোচনা শুরু করা জরুরি৷ আলোচনায় বসলে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রসঙ্গ আসবে৷ তাতে কি আলোচনা হয়, সরকার ও বিরোধী দল নিজ নিজ অবস্থানে কি যুক্তি দেয় তা জানা যাবে৷ দেশবাসীও জানতে পারবে৷ এতে ফল ভালোই হবে৷ সরকার যদি অযৌক্তিক কথা বলে, তাহলে তা দেশের জনগণ নিশ্চয়ই গ্রহণ করবে না৷
হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, সরকার ও বিরোধী দল উভয়কে অনঢ় আবস্থান থেকে সরে আসতে হবে৷ অবশ্য তার কিছুটা হলেও লক্ষণ ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে৷ সংঘাত- সংঘর্ষের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয় না, বরং আরো জটিল হয়৷ আলোচনার মাধ্যমেই শেষ পর্যন্ত সমাধান আসে৷ তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই৷ এই নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে হবে৷ সেটা না হলে দেশের মানুষের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে৷ আর আলোচনার মাধ্যমে সেই পথই বের করতে হবে৷