শান্তি আলোচনা ‘স্থগিত’
২৫ এপ্রিল ২০১৪এর আগে ফিলিস্তিনে ঐক্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তালিকাভুক্ত হামাস আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন ঐক্যমত্যের সরকার গঠনে সম্মত হয়৷ বিবদমান দুটি সংগঠন আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায়৷ এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই শান্তি আলোচনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল৷
বৃহস্পতিবার জরুরি মন্ত্রীপরিষদ বৈঠক শেষে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আজ সন্ধ্যায় ফিলিস্তিন সরকারের সঙ্গে আর আলোচনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ৷ হামাসের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, যে কিনা ইসরায়েলের ধ্বংস চায়, তার দিকে ঝুঁকে পড়া সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা হতে পারে না৷''
এ সিদ্ধান্ত ঘোষণার পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে সতর্কও করে দিয়েছে ইসরায়েল৷ বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল কিছু পাল্টা ব্যবস্থাও নেবে৷''
ইসরায়েলের এ ঘোষণার ফলে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বড় প্রশ্নের মুখে পড়লো৷ নয় মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির উদ্যোগে এই শান্তি আলোচনা শুরু হয়৷ কেরি অবশ্য এখনই সব আশা ছেড়ে না দেয়ার পক্ষে৷ তাংর কথায়, ‘‘আমরা কখনোই সব আশা ছেড়ে দেবো না, কিংবা শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার থেকে সরে আসবো না৷ আমরা মনে করি, এটাই একমাত্র পথ৷ তবে এ মুহূর্তে পুরো বিষয়টি যে খুব কঠিন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, তা ঠিক৷''
এদিকে নেতানিয়াহুও শান্তি আলোচনা জারি রাখার একটি উপায়ের কথা উল্লেখ করেছেন৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি হামাসের সঙ্গে সমঝোতার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘ফেরার সুযোগ এখনো আছে৷ (হামাসের সঙ্গে) চুক্তিটা বাতিল করলেই তা সম্ভব৷ আশা করি তা করা হবে৷ কারণ, আমরা তেমন একটি ফিলিস্তিন সরকারের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে পারি যে সত্যি সত্যিই শান্তি চায়৷''
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, এপি, ডিপিএ)