জাতিসংঘে বাংলাদেশ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেন ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বিশেষ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, যে বাংলাদেশ দীর্ঘ কাল ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণের কাজে শুধু সম্পৃক্তই নয়, এক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে৷ জাতিসংঘের শান্তি বাহিনীতে সৈন্যসংখ্যার বিচারে, মহিলা পুলিশ ও সাধারণ পুলিশ বাহিনীর সদস্যসংখ্যার বিচারে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷ এছাড়া ‘পিস বিল্ডিং' বা শান্তি বিনির্মাণের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে৷
ড. মোমেন বলেন, জাতিসংঘের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী শান্তিরক্ষার কাজ শেষ হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চরম অরাজকতা বিরাজ করে৷ এমন এলাকার মানুষ যে ‘পিস ডিভিডেন্ড' বা সুফল চায়, তা না পেলেই অশান্তির সৃষ্টি হয়৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারছে৷ স্বাধীনতার পর দেশের অবকাঠামো সম্পূর্ণ ভঙ্গুর ছিল৷ কিন্তু মানুষকে প্রেরণা যুগিয়ে, তাদের সম্পৃক্ত করে সেই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল৷ সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাঠামোর মধ্যে সংকটের পর বিভিন্ন দেশ গড়ে তোলার কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ