1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অন্য ধরনের সিরিয়া সম্মেলন

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোরঁ ফাবিউস৷ ওয়াশিংটনেরও তাই মত৷ রাশিয়ার সাহায্য নিয়ে বিদ্রোহীদের উপর বিমান হানা চালিয়ে গেছে সিরীয় প্রশাসন, যে কারণে বিরোধীরা আলাপ-আলোচনায় বসতে নারাজ৷

https://p.dw.com/p/1HpdZ
Genf Syrien Konferenz Friedensgespräche
ছবি: picture-alliance/dpa/S. di Nolfi

বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ মধ্যস্থ স্তাফান দে মিস্তুরা জেনেভার শান্তি আলাপ-আলোচনা তিন সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেন৷ অবশ্য দে মিস্তুরা বলেন যে, এটা ‘‘আলাপ-আলোচনার অন্ত বা ব্যর্থতার'' আভাস নয়, বৈঠক যথারীতি ২৫শে ফেব্রুয়ারি শুরু হবে৷ ব্যঙ্গচিত্রশিল্পীদের দৃষ্টিতে ঘোষণাটা স্বভাবতই অন্যরকম দেখায়৷

যুদ্ধের ধ্বংসলীলার মধ্যে শান্তির পারাবত চিন্তিত মুখে ঘড়ি দেখে চলেছেন৷ প্রায় পাঁচ বছর সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতির প্রথম ক্ষীণ আশা, অথচ বিদ্রোহীদের সামগ্রিক প্রতিনিধিত্বমূলক ‘দ্য হাই নেগোশিয়েশনস কমিটি' বা এইচএনসি জানিয়েছে যে, আলেপ্পো অভিমুখে বিদ্রোহীদের একটি সরবরাহ পথের উপর আসাদ প্রশাসনের বোমাবর্ষণ বন্ধ না হলে, তারা আলাপ-আলোচনায় বসবে না৷

সর্বশেষ খবর হলো যে, সিরীয় সরকারের সৈন্যদল আর হেজবোল্লাহ গোষ্ঠীর যোদ্ধারা আলেপ্পোর কাছে নুবল আর জাহরা নামের দু'টি শিয়াপন্থি গ্রামে ঢুকতে সমর্থ হয়েছে৷ বিদ্রোহীরা ২০১২ সাল যাবৎ এই গ্রাম দু'টি ঘিরে রেখেছে৷ সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো ২০১২ সালের যুদ্ধ যাবৎ পশ্চিমে সরকারি সেনা আর পুবে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে৷ এক সপ্তাহ আগে সরকারি তরফ থেকে যে অভিযান শুরু হয় – ব্যাপক রুশ বিমানহানার ছত্রছায়ায় – সেই অভিযানে আলেপ্পো থেকে তুর্কি সীমান্ত অবধি বিদ্রোহীদের সরবরাহের শেষ পথটিও বিচ্ছিন্ন হয়েছে৷ এই অবস্থায় শান্তি আলাপ-আলোচনা?

Karte IS Irak Syrien 20.05.2015 Englisch

দে মিস্তুরার কাজই হলো আসাদ প্রশাসন এবং এইচএনসি-কে ছ'মাসের ‘প্রক্সিমিটি টকস'-এ বসতে রাজি করানো৷ এক্ষেত্রে প্রক্সিমিটি বলতে আপোশ নয়, বোঝায় নিকটত্ব – দু'পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানের মধ্যে ব্যবধান কমানো৷ দৃশ্যত তা-তেও ব্যর্থ হতে বসেছেন দে মিস্তুরা৷ যে কারণে জানিন দি জোভানির ক্ষেদযুক্ত টুইট: ‘‘বাঃ, এটা প্রত্যাশিতই ছিল , তা সত্ত্বেও ট্র্যাজিক৷''

ওদিকে আজ বৃহস্পতিবার লন্ডনে শুরু হচ্ছে অন্য এক ধরনের সিরিয়া সম্মেলন৷ ৭০টি দেশের নেতা ও কূটনীতিকরা সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলিতে পলাতক সিরীয় উদ্বাস্তু বা শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক দাতা সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন – যদিও তার অপর উদ্দেশ্য হলো, ইউরোপ অভিমুখে উদ্বাস্তুর স্রোত কিছুটা স্তিমিত করার প্রচেষ্টা৷

সমস্যার মূল কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায়, যে দেশের অর্ধেক মানুষ আজ ঘরছাড়া বা দেশছাড়া৷ বিবিসি চ্যানেল ফোর ও অন্যান্য চ্যানেলের টুইটে একটি এক মিনিটের ভিডিও আজ সেই পরিস্থিতি চোখের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

সিরিয়ায় সংকট নিরসন কি আদৌ সম্ভব? জানান আপনার মতামত, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান