শান্তিতে নোবেল এক মানবাধিকারকর্মী ও দুই সংগঠনের
৭ অক্টোবর ২০২২শুক্রবার নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে৷ ঘোষণায় বলা হয়েছে, পুরস্কারপ্রাপ্তরা তাদের নিজ নিজ দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি৷ ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তারা বছরের পর বছর কাজ করে চলেছেন৷ যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যাবহারের দলিল তৈরিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন তারা৷ শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক সমাজ কতটা গুরুত্ব বহন করে তা এই ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বলেও জানায় নরওয়ের নোবেল কমিটি৷
কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৯৮০-র দশকে বেলারুশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী আলিয়্যেস বিয়ালিয়াৎস্কি৷ গণতন্ত্রের প্রসার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন৷ ১৯৯৬ সাল থেকে তার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ভিয়াসনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে আটক ও তাদের পরিবারের সহায়তা দিয়ে আসছে৷ ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি নিজেও কারারুদ্ধ ছিলেন৷ নানা নিপীড়ন সত্ত্বেও গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই থেকে আলিয়্যেস বিয়ালিয়াৎস্কি ‘এক ইঞ্চিও’ সরে আসেননি বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি৷
অন্যদিকে ১৯৮৭ সালে মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকারকর্মীরা৷ মেমোরিয়াল বর্তমানে রাশিয়ার বৃহত্তম মানবাধিকার সংস্থায় পরিণত হয়েছে৷ রাশিয়ায় রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকারদের বিষয়ে তথ্য সংকলন ও প্রমাণাদি সংগ্রহ করে চলেছে তারা৷
ইউক্রেনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৭ সালে কিয়েভে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ৷ ইউক্রেনে নাগরিক সমাজ এবং পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারা শক্তিশালী অবস্থান নেয়৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের উপর রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের তথ্য, প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি৷
এফএস/এসিবি