1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তির কথাও বলছে রাশিয়া

২৮ এপ্রিল ২০২৩

শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের উপর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া৷ চীন ও ইউক্রেনের শীর্ষ নেতাদের সংলাপকে স্বাগত জানালেও সামরিক লক্ষ্য পূরণে অবিচল মস্কো৷ ইউক্রেনের পালটা অভিযান নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে৷

https://p.dw.com/p/4Qev4
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের উমান শহরের ক্ষতিগ্রস্ত এক ভবন৷
রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের উমান শহরের ক্ষতিগ্রস্ত এক ভবন৷ছবি: Press service of the State Emergency Service of Ukraine via REUTERS

শুক্রবার ভোরে রাশিয়া আবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক স্থানে বড় আকারের হামলা চালিয়েছে৷ দেশের কেন্দ্রস্থলে দ্নিপ্রো শহরে রুশ হামলায় এক তরুণী ও তাঁর তিন বছরের শিশু নিহত হয়েছে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন৷ উমান শহরে এক আবাসন ভবনে আগুনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে৷ তবে কিয়েভ শহরে বিস্ফোরণ ও এয়ার রেড সাইরেন শোনা গেলেও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায় নি৷ কিয়েভ ও সংলগ্ন এলাকায় রাশিয়ার মোট ১১টি ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করেছে৷

বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে টেলিফোনে আলোচনাকে অন্যান্য দেশের পর রাশিয়াও স্বাগত জানালো৷ মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেন সংকট অবসানের জন্য যে কোনো উদ্যোগকেই সাধুবাদ দিতে প্রস্তুত৷ তবে তা সত্ত্বেও রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান'-এর লক্ষ্য পূরণ করা প্রয়োজন৷ ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গও চীন ও ইউক্রেনের শীর্ষ নেতার মধ্যে আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে চীন যে এখনো ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার নিন্দা করে নি, সেই বাস্তব এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷

স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার মনে করিয়ে দেন, যে ন্যাটোর সদস্য ও সহযোগীরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউক্রেনকে ইতোমধ্যে প্রায় সব সাঁজোয়া যান সরবরাহ করেছে৷ তাঁর মতে, প্রায় ৯৮ শতাংশ ‘কমব্যাট ভেহিকেল' ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে দখলদারী রুশ বাহিনীর হাত থেকে হারানো জমি উদ্ধার করতে যে কোনো দিন ইউক্রেন নতুন সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে এমন অভিযানের দিনক্ষণ বা কৌশল সম্পর্কে ইউক্রেন নীরব রয়েছে৷ প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হলে উপযুক্ত সময় বেছে সেই অভিযান শুরু হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন৷

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বাখমুত শহর পুরোপুরি দখল করতে প্রায় দশ মাস ধরে চেষ্টা চালিয়েও রাশিয়া সফল হয় নি৷ কিন্তু ইউক্রেনের জোরালো প্রতিরোধের কারণে সেই প্রচেষ্টা সফল হয় নি৷ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের রসদ সরবরাহের এক গুরুত্বপূর্ণ রুট বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালিয়েছে৷ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ১৩টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ তবে রসদ ও যোগাযোগের পথ এখনো খোলা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন৷ ইউক্রেনের জোরালো পালটা হামলার কারণে বাখমুতের দখল করা এলাকা বার বার রাশিয়ার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বলে সামরিক বিশ্লেষকরা দাবি করছেন৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযানে সামরিক সাফল্যের দাবি করলেও সরাসরি বাখমুতের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেন নি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)