শান্তির বার্তা নিয়ে জার্মানিতে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলন
২০ আগস্ট ২০১৯সম্মেলনের এবারের মূল ভাবনা হলো “সবার সাধারণ ভবিষ্যতের প্রতি যত্নবান হওয়া - সবাই মিলে ভালো থাকার পথে অগ্রসর হওয়া৷’’
বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন ধর্মের প্রায় ৮০০ জন ধর্মীয় নেতা, নারী ও তরুণ প্রতিনিধিরা এখানে অংশ নিচ্ছেন৷ এদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের সরকারের ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি প্রায় প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি৷এবারের আসরটি সংগঠনটির ধর্ম ও শান্তি বিষয়ক দশম সম্মেলন৷
সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেন কে কোথা থেকে এসেছেন, তাঁর বর্ণ কী, তাঁর লিঙ্গ কী এর ওপর শান্তি যেন নির্ভর করে না৷ধর্মগুলোর মধ্যে শান্তি না থাকলে এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না বলেও মত দিয়েছেন তিনি৷
এবারের আসরে মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ বিশেষ করে দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এই প্লাটফর্ম কী ভূমিকা রাখতে পারে তা আলোচনা হবে৷ এ সঙ্কট নিরসনে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মাঝে শান্তি আলোচনা হবার কথা রয়েছে এ সম্মেলনে৷ এজন্য মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাসহ ধর্মীয় নেতা, সরকারি ও সুশীল সমাজের ১৫ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন৷ তবে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন মাত্র তিনজন, তাও রিলিজিয়ন্স ফর পিস বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা৷
এছাড়া সম্মেলনে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো ও মধ্য আফ্রিকার সংকট নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে৷সম্মেলন থেকে সম্প্রচারিত ডয়চে ভেলের ভিডিওটি দেখুন৷
সম্মেলন থেকে প্রচারিত ডয়চে ভেলের ভিডিওটি দেখুন৷
১৯৭০ সালে নিউইয়র্কভিত্তিক রিলিজিয়ন্স ফর পিস নামে এই প্লাটফর্মটির যাত্রা শুরু হয়৷ ঠাণ্ডা যুদ্ধের কারণে যখন বৈশ্বিক মেরুকরণ দানবীয় রূপ নিচ্ছে তখন এ ধরনের একটি উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা দেখেন উদ্যাক্তারা৷ মূলত যুদ্ধ ওসংঘাত ঠেকাতে ধর্মের ভূমিকা রাখার বিরাট সুযোগকে কাজে লাগাতে চেয়েছেন তাঁরা৷ সংগঠনটির প্রথম সম্মেলনটি হয় জাপানের কিয়োটোতে৷ বর্তমানে ৯০টিরও বেশি দেশে সংগঠনটির জাতীয় ও ছয়টি আঞ্চলিক শাখা আছে৷