1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিকাব নিষিদ্ধের পথে নরওয়ে

১২ জুন ২০১৭

নরওয়ে সরকার সোমবার পুরো চেহারা ঢেকে রাখা হয় এমন মুসলিম পোশাক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধের লক্ষ্যে একটি বিল প্রস্তাব করেছে৷ নার্সারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অবধি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য হবে৷

https://p.dw.com/p/2eWwZ
Marokko Frau mit Niqab
নিকাব পরিহিত এক নারীছবি: picture alliance/dpa/N. Seliverstova/Sputnik

নরওয়ের ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল এবং অভিবাসনবিরোধী দলগুলোর জোট সরকার গতবছরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিকাব, বোরকা, মুখ ঢাকা টুপি এবং মুখোশ নিষিদ্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ তারা মনে করে, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের মধ্যে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় এ ধরণের পোশাক৷

দেশটির শিক্ষা এবং গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, ‘‘মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাক আমরা নার্সারি, স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাই না৷ এই পোশাক ভালো যোগাযোগের পথ রুদ্ধ করে, যা শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দেয়ার পথে এক অন্তরায়৷’’

প্রস্তাবিত এই আইনের ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে আগামী কয়েকমাস আলোচনা করবে নরওয়ের কর্তৃপক্ষ৷ সেদেশের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আগামী বছরের বসন্তে বিলটি অনুমোদিত হতে পারে৷ প্রায় সব রাজনৈতিক দলের এই নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷

প্রসঙ্গত, নরওয়ের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ চাইলে এক্ষুনি স্কুলে নিকাব নিষিদ্ধ করতে পারে, তবে সে দেশের জাতীয় স্তরে এখনো এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই৷ তাছাড়া নিকাব নিষিদ্ধের আইন কেউ অমান্য করলে তার কী শাস্তি হবে তা-ও প্রস্তাবিত বিলে উল্লেখ করা হয়নি৷

নরওয়েতে নিকাব পরার চল তেমন একটা না থাকলেও মাঝেমাঝেই এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ দ্য ইসলামিক কাউন্সিল নামক মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন নিকাব পরেন এমন একজনকে নিয়োগ করলে সেটি নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে উত্তপ্ত বিতর্ক শুরু হয়৷ নরডিক দেশটিতে আগামী সেপ্টেম্বরে নির্বাচন৷

নিকাব নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে সে দেশের অভিবাসী এবং একীভূতকরণ অন্তর্বর্তী মন্ত্রী পার স্যান্ডবার্গ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘নিকাব এবং বোরকার মতো মুখ ঢেকে রাখে এমন পোশাকের কোনো স্থান নরওয়ের স্কুলে নেই৷ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারাটা একটি মৌলিক আবশ্যকতা৷’’

এআই/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...