পদত্যাগের প্রস্তুতি
২ নভেম্বর ২০১৩নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ সিপিবি এবং বাসদের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সঙ্গে৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে৷ তবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এই বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেন নি৷ তিনি বলেছেন, ‘‘নির্বাচন বর্জনের কোন আলাপ হয়নি৷''
এর আগে এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেও তারা নির্বাচনের অংশ নেয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি৷ দলটি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে৷ শেখ হাসিনা গত শুক্রবার বলেছেন, ‘‘যেসব দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে তাদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠন হবে৷ বিএনপি যদি সর্বদলীয় সরকারে না আসে নির্বাচন থেকে দূরে থাকে তাহলে সর্বদলীয় সরকারে জাতীয় পার্টি ভাল একটি অংশ পাবে৷''
এদিকে শনিবার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘‘সর্বদলীয় সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে শিগগিরই বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা পদত্যাগ করবেন৷'' তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার পরপরই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কাজ শুরু হবে৷ সেক্ষেত্রে বিরোধী দল যদি এই সরকারে অংশ নিতে চায় তারা নাম পাঠাতে পারে৷ কোন কোন মন্ত্রণালয় নিতে চায় তাও বলতে পারে৷ এসব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে৷
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন খুব দ্রুতই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে৷ আগামী মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই নির্বাচনী কাজ শুরু হয়ে যাবে৷
তবে সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আন্দোলনের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে৷ তারা আগামী সোমবার থেকে তিন দিনের হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে৷ গত সপ্তাহে তিন দিনের হরতালের পর এবার অবরোধের কথা শোনা গেলেও বিরোধী দল কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে৷ তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এই ধরনের কর্মসূচিই চলবে৷ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে টানা কর্মসূচি দিয়ে তারা সরকারের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টি করবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য৷
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘সরকার সংলাপের নামে নাটক করেছে৷ তারা আসলে একতরফা নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছে৷ কিন্তু বাংলাদেশে কোন একতরফা নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা৷ জনগণকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে৷ আর নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷''