আর্ট বাসেল
১২ আগস্ট ২০১৫মডার্ন আর্ট বা ক্ল্যাসিক্যাল মডার্ন – ‘আর্ট বাসেল' প্রদর্শনীতে সবরকমের চিত্রকলাই কিনতে পাওয়া যায়৷ ঐতিহ্যপূর্ণ এই আর্ট ফেয়ার-এ সবচেয়ে বেশি অঙ্কের চিত্রকলা কেনা-বেচা করা হয়৷ প্রতি বছর এই কলা প্রদর্শনীতে আসেন প্রায় নব্বই হাজার দর্শক৷
জোয়েল রম্বা ইতিপূর্বে বহু আর্ট গ্যালারি এবং অকশন হাউস, অর্থাৎ যেখানে শিল্পকলা নিলাম করা হয়, তেমন সব সংস্থায় কাজ করেছেন৷ তিনি ও তাঁর স্বামী এরিক গত দশ বছর ধরে সমসাময়িক চিত্রকলা সংগ্রহ করে আসছেন৷ জোয়েল বলেন, ‘‘বলতে কি, আর্ট বাসেল-এ শিল্পকলার বাজারদর নির্ধারিত হয়৷ অন্যান্য আর্ট ফেয়ার-এর সঙ্গে আর্ট বাসেল-এর পার্থক্য সম্ভবত এই যে, এখানে বহু দর্শক আসেন, যাদের কাছে শিল্পকলা হল একটি বিনিয়োগের ক্ষেত্র৷ অন্যান্য শিল্পকলা প্রদর্শনীতে মূলত কলাপ্রেমীরা আসেন৷''
মনের মতো ছবি
জোয়েল ও এরিক রম্বা বহু ছবির মধ্যে থেকে ঠিক সেই ছবিগুলি খুঁজছেন, যেগুলি তাঁদের সংগ্রহের সঙ্গে মানাবে৷ ফিলিপ দেক্রজা-র আরো একটি ছবি পেলে ভালো হতো – দাম দেখা যাচ্ছে পঁয়ত্রিশ হাজার ইউরো৷ এরিক বললেন, ‘‘পেলে খুব মানাতো – দুঃখের কথা, আমাদের শোবার ঘরে শিল্পীর একটি অনুরূপ ছবি ঝুলছে, সেই সঙ্গে একটি অপেক্ষাকৃত ছোট শিল্পকর্ম, একটি রঙিন ছবি৷ এই ছবিটা অন্য দু'টোর সঙ্গে খুব ভালো মানাতো৷''
প্রদর্শনীর প্রথম দিনেই জোয়েল রম্বা একটি ছবি আবিষ্কার করেছেন, যা তিনি তাঁর স্বামীকে অবশ্যই দেখাতে চান৷ রম্বা দম্পতির কাছে ইতিমধ্যেই টিলো হাইনৎসমান-এর একটি সাদা-কালো ছবি আছে৷ হাইনৎসমান বর্তমানে জাপান থেকে আনা উচ্চমানের কমলা রং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন৷ জোয়েল বললেন, ‘‘একমাত্র গোলযোগ হল, সাত বছর আগে আমরা যখন হাইনৎসমান-এর ছবিটা কিনি, তখন তার দাম ছিল ছবিটার আজকের দামের এক-চতুর্থাংশ৷ আর এই ছবিটার দাম ধরুন আজ বাইশ হাজার ইউরো৷''
প্রদর্শনীর যে অংশে পাবলো পিকাসো, ক্লোদ মোনে অথবা মার্ক রথকো-র মতো নামী-দামী চিত্রকরদের ছবি বিক্রি হচ্ছে, সেখানে এমন সব সংগ্রাহকদের পাওয়া যাবে, যারা একটি ছবির জন্য কোটি-কোটি ডলার বা ইউরো খরচ করতে রাজি৷