শিল্পীর হাত ধরে ইরান-ইসরায়েল গোপন ‘বন্ধুত্ব’
প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন লিরাজ চারি৷ এতদিন দূর থেকে তার হিব্রু ভাষার গান শুনে নাচতেন ইরানের সংগীতপ্রেমিরা৷ এবার ফার্সি গানের সুরে তেহরানে গিয়েই মাতিয়ে এলেন ভক্তদের৷ বিস্তারিত ছবিঘরে...
প্রাণে ইরান
সংগীতশিল্পী, অভিনেত্রী লিরাজ চারির বাবা-মায়ের জন্ম ইরানে৷সেফার্ডিক ইহুদি এই দম্পতি খুব কম বয়সে ইরান ছেড়ে ইসরায়েলে পাড়ি জমান৷তবে জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসা অটুট আছে তাদের মনে৷মেয়ে লিরাজের মনেও সেই ভালোবাসার বীজ বুনেছেন তারা৷
ইরানে ইসরায়েলি-প্রেম
ইরানে নিজের জনপ্রিয়তা দেখে লিরাজ চারি অনেক আগে থেকেই অভিভূত৷ তার অনেক গানই সেখানে সাড়া ফেলেছে৷ বহুবার ইউটিউবে গান আপলোড করার কয়েকদিনের মধ্যেই ইরানি তরুণ-তরুণীদের সেই গানের সঙ্গে নাচার ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়েছেন৷ইরানের শ্রোতাদের জন্য বিশেষ কিছু করাটা খুব জরুরি মনে হচ্ছিল ৪২ বছর বয়সি শিল্পীর কাছে৷
শঙ্কা ছিল অনেক
মাঝে কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন লিরাজ৷ সেখান থেকে ফেরার সময় সুটকেস ভরে ফার্সি গানের সিডি নিয়ে এসেছিলেন ইরানি ভক্তদের কথা মাথায় রেখে৷ কিন্তু দু দেশের সম্পর্ক এমন যে লিরাজ জানতেন চাইলেই ইরানে গিয়ে কিছু করা খুব কঠিন৷ ডয়চে ভেলেকে খুব দুঃখ করেই বলছিলেন, ‘‘আমরা (ইরান আর ইসরায়েলের মানুষ) মুক্তভাবে কথা বলতে পারি না, একটা অ্যালবাম প্রকাশ করতে পারি না- এটা মেনে নেয়া খুব কষ্টের৷’’
ভক্তদের জন্য ভালোবাসা
তবু ভাবছিলেন ইরানে গিয়েই কিছু করবেন৷ বড় ভয় ছিল সেদেশের ভক্তদের নিয়ে৷ ইরানে গিয়ে ভিডিও ধারণ করলে স্থানীয় শিল্পীদেরও সঙ্গে রাখতে হবে৷ ধরা পড়লে যে কত বড় বিপদ তা খুব ভালো করেই জানতেন লিরাজ চারি৷
তেহরানে ‘ইসরায়েলি গোয়েন্দা’
প্রকাশ্যে ইরানে যাওয়া সম্ভব ছিল না৷ তাই গোপনেই গিয়েছিলেন তেহরানে৷ সম্প্রতি ইসরায়েলের এক গোয়েন্দা ধারাবাহিকে মোসাদের এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লিরাজ৷ সেরকম গোয়েন্দার মতোই ইরানের রাজধানীতে গিয়ে ভক্তদের উপস্থিতিতে স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে নিজের দ্বিতীয় ফার্সি অ্যালবামের কাজও সেরে আসতে পেরে লিরাজ চারি এখন আনন্দে ভাসছেন৷