শিশু ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল পাকিস্তান
১১ জানুয়ারি ২০১৮পাকিস্তানের কাসুর শহরের শিশুকন্যা জাইনাব আনসারি গত সপ্তাহে তার এক প্রতিবেশীর বাড়িতে কোরান পাঠ শিখতে গিয়েছিল৷ অভিযোগ, ফেরার সময় কে বা কারা তাকে অপহরণ করে ধর্ষণকরার পর খুন করে৷ তার মৃতদেহ একটি আবর্জনার স্তুপের ভিতর ফেলে রেখে যাওয়া হয়৷ জাইনাবের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে কাসুর৷ দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ৷ অভিযোগ, ঘটনার পর সাতদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি৷ শুধু তাই নয়, গত বছর জাইনাবকে নিয়ে আটজন শিশুকন্যার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ৷
ঘটনার সময় সৌদি আরবে হজ করতে গিয়েছিলেন জাইনাবের বাবা-মা৷ খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত ফিরে আসেন৷ তাঁরাও যোগ দেন প্রতিবাদ বিক্ষোভে৷ তাঁরা বলছেন, অভিযুক্তরা ধরা না পড়লে জাইনাবকে কবর দেওয়া হবে না৷
এদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ৷ প্রত্যুত্তরে পুলিশও গুলি চালালে ২ জনের মৃত্যু হয়৷ পাঞ্জাব পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ৪ পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও একটি টুইট করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, তারা সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে সমর্থন করছে৷
দেশজুড়ে ‘জাস্টিসফরজাইনাব' হ্যাশট্যাগও ছড়িয়ে পড়েছে৷ মালালা ইউসুফজাই টুইট করে ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন৷
ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জন্য আগেও অনেকবার খবরের শিরোনামে এসেছে কাসুর৷ এর আগে ২০১৫ সালে ২৮০ জন শিশুর উপর যৌন নিগ্রহের ছবি প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে৷ দেখা গিয়েছিল একদল পাশবিক ব্যক্তিকে৷ শিশুদের উপর নির্যাতন করে তারা উল্লাস করছিল৷ অভিযুক্তরা ওই শিশুদের পরিবারকে হুমকি দিয়েছিল যে, এ বিষয়ে পুলিশকে খবর দিলে ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেওয়া হবে৷
সব মিলিয়ে জাইনাব ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল পাকিস্তান৷ যা মনে করিয়ে দেয় কয়েকবছর আগে দিল্লি ধর্ষণের স্মৃতি৷ সেবার এক তরুণীর ধর্ষণকে কেন্দ্র করে রাজপথে নেমেছিলেন ভারতের সাধারণ মানুষ৷
এসজি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিডাব্লিউ)