শিশু পর্নোগ্রাফি
২৩ নভেম্বর ২০১৩পেডোফিল, অর্থাৎ যে সব প্রাপ্তবয়স্করা শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে আগ্রহী অথবা সে বিষয়ে কৌতূহলী, ইন্টারনেট বহুদিন আগেই তাদের বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে৷ কিন্তু এবার তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নামছে মাইক্রোসফট ও গুগল; সেই সঙ্গে ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের এনএসএ৷
মাইক্রোসফট এবং গুগল ঘোষণা করেছে যে, তাদের ‘‘বিং'' এবং ‘‘গুগল'' সার্চ এঞ্জিনগুলি এক লক্ষ ‘‘টিপিকাল'' শব্দ বা শব্দসমষ্টি ফিল্টার করবে, যেগুলি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সাধারণত শিশু পর্নোগ্রাফির খোঁজ করে থাকে৷ এটা প্রথমে শুধু ইংরিজি ভাষায় করা হবে, কিন্তু শিগগিরই সেই নিষিদ্ধ শব্দ বা বাক্যের তালিকা মোট ১৫০টি ভাষায় প্রযোজ্য হবে৷ যে সাইটগুলি খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেগুলি ব্লক করা থাকবে এবং একটি সতর্কতাবাণী দেখানো হবে যে, সংশ্লিষ্ট সাইটগুলি নিষিদ্ধ ও বেআইনি৷
অপরদিকে গুপ্তচর বিভাগগুলি ইন্টারনেটের প্রত্যন্ততম কোণে গুপ্ত প্রণালীতে লেখা সাইটগুলিও ঘেঁটে দেখবে, সেই ‘‘ডার্কনেট'' বা ‘অন্ধকার নেটে' যৌন অপরাধীরা তাদের লালসার শিকার নিরপরাধ শিশুদের নিয়ে কী ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ চালাচ্ছে৷ অনেক সময়ে সেটা ঘটে একাধিক বার এনক্রিপশন করা সাইটে, যা সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পক্ষে খোলা সম্ভব নয়৷ অথবা ডার্কনেটের এই সব ফোরামে শিশু পর্নোগ্রাফির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে শুধু কথাবার্তা হয় – পরে পণ্যের আদানপ্রদান হয় নিষিদ্ধ বা চোরাই মাল হস্তান্তরের চিরাচরিত পদ্ধতিতে৷
অপরদিকে গুগল এবং মাইক্রোসফটের পদক্ষেপের ফলে শিশু পর্নোগ্রাফি বিক্রেতাদের ব্যবসা ৩০ শতাংশ অবধি কমে যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷ এই ব্যবসার পরিধি যে কত, একটি তথ্য থেকেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়: জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে ২০১১ সালে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অপরাধের এক হাজারের বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটে খোঁজখবর করে থাকে, কিন্তু গুপ্তচর বিভাগগুলি সেই অনুসন্ধানে যোগ দিলে, সে খবর পেডোফিল মহলে আতঙ্কের সৃষ্টি করবে বৈকি৷ অন্তত লোয়ার স্যাক্সনি পুলিশের তাই ধারণা৷