শীতের রূপকথা, চীনের বরফনগরী
এই ক্ষণস্থায়ী সৌন্দর্য দেখতে উত্তর চীনের হারবিনে অনেকেই জড়ো হচ্ছেন। শহরের তুষার ও বরফ উৎসবকে রূপকথার ভাস্কর্য দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
হিমায়িত রূপকথা
আইস অ্যান্ড স্নো ওয়ার্ল্ড হারবিনের বার্ষিক উৎসব। বিখ্যাত ভবনের আদলে তৈরি করা হয়েছে কিছু ভাস্কর্য। অন্যগুলো ইউরোপীয়-শৈলীর রূপকথার দুর্গের কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসব।
বরফের শিল্প
বরফের ভবনগুলো ছাড়াও আকর্ষণীয় তুষার চিত্রও শোভা পাচ্ছে এই উৎসবে। উৎসবের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক তুষার ভাস্কর্য প্রতিযোগিতায় ১২টি দেশের শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন।
স্লাইডের আনন্দ বড়দেরও
কেবল ছোটদের জন্য নয়, স্নো অ্যান্ড আইস ওয়ার্ল্ডের বেশ কয়েকটি বরফের স্লাইড বড়দেরও বিনোদনের উৎস। রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া দেখে বরফের ভাস্কর্য গলে যাওয়ার ভয় অবশ্য নেই। উৎসবের উদ্বোধনের সময় শহরটির তাপমাত্রা দিনের বেলাতেও ছিল মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশ্বের বৃহত্তম আইস অ্যান্ড স্নো পার্ক
বরফের ভাস্কর্যগুলি রাতের বেলা রঙিন আলোয় আলোকিত হয়। এই বছর আইস পার্কটি ২০০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এই এলাকা জুড়ে প্রায় আড়াই লাখ ভাস্কর্য স্থান পেয়েছে। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের বৃহত্তম আইস অ্যান্ড স্নো পার্কের মর্যাদা পেয়েছে এটি।
হিমায়িত জলে বরফস্নান
কাছেই সোনগুয়া নদী থেকে ভাস্কর্য তৈরির জন্য বরফ আনা হয়। এই সাঁতারুদের মতো অনেকেই হিমায়িত জলে ডুব দেয়ার অভিজ্ঞতা নিতে বরফের গর্ত ব্যবহার করেন।
তুষার মধ্যে ব্যস্ত দিন
অসংখ্য তুষার শিল্পী তাদের শিল্পকর্ম নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াংয়ের রাজধানী হারবিনে আয়োজিত এই উৎসবটি কয়েক দশক ধরে পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় শীতকালীন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাড়াচ্ছে জনপ্রিয়তা
এক নারী একটি বরফের দুর্গের সামনে ছবি তুলছেন। এমন নানা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার ছড়িয়ে পড়ার পর পর্যটন প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে এ বছরের শুরুতে হারবিনে ৩০ লাখেরও বেশি পর্যটক এসেছেন।
শীতের রূপকথা
আইস অ্যান্ড স্নো ওয়ার্ল্ডে দৈনিক দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ হাজারে। উৎসবের উপ-পরিচালক সুন জেমিন বার্তা সংস্থাকে রয়টার্স জানিয়েছেন, আগের বছরের তুলনায় এ সংখ্যা দ্বিগুণ।