1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এমন নিরবতা হুমকিস্বরূপ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ জানুয়ারি ২০১৪

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই ঘটনায় নিরব ছিলেন৷ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল আনাম খান বলেন, এ ধরণের ঘটনায় এমন নীরবতা রাষ্ট্রকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়৷

https://p.dw.com/p/1Azmm
ছবি: Reuters

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারক এস এম মজিবুর রাহমান তাঁর রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ডিজিএফআই-এর সেসময়ের মহাপরিচালক সাদিক হাসান রুমি ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনা তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানানোর পরও তিনি নিরব ছিলেন৷ সাক্ষীদের জবানবন্দিদে এই অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে হাওয়া ভবনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে৷ হাওয়া ভবন তখন ছিল খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের কার্যালয়৷

বিচারক পর্যবেক্ষণে আরো বলেছেন, এর সঙ্গে সে সময়কার সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ এবং মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তারাও জড়িত ছিলেন৷ এছাড়া যোগাযোগের সূত্র পাওয়া গেছে পাকিস্তানের আইএসআই-এর সঙ্গেও৷ ঐ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল উলফা নেতাদের৷ তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন দণ্ডপ্রাপ্ত ডিজিএফআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রহিম৷

Bangladesh Matiur Rahman Nizami
জামায়াতের আমীর, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীছবি: picture alliance/AP Photo

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল আনাম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্রের ঘটনা কোনোভাবেই তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অজান্তে হয়নি৷ তবে তাঁরা কি কারণে এবং কোন নীতির ভিত্তিতে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে এই অস্ত্র পাচারে সহযোগিতার চেষ্টা করেছিলেন, তা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন৷ কিন্তু তাঁদের এই নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি বলেন, সেসময়ের প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং ক্ষতিকর৷ এতে রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল আনাম খানের কথায়, যেভাবে সেই সময়ের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কমৃকর্তারা এর সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক৷ তাঁদের রাজনৈতিক কারণে রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর – এমন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে৷ সে সময়কার দু'জন মন্ত্রী সরাসরি এ ঘটনার জড়িত বলে প্রমাণও হয়েছে৷ যা প্রমাণ করে এইসব অস্ত্রের চোরাচালানে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত তৎকালীন সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নেয়া হয়েছে৷

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল রাতে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা বা সিইউএফএল জেটিঘাটে খালাসের সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটকের ঘটনায়, বৃহস্পতিবার আদালত বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুত্‍ফুজ্জামান বাবর এবং জামায়াতের আমীর সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য